ছবি তুলতে দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজের সম্মান বাঁচান
আমার পরিবারের লোকজন এবং ক্লোজ বন্ধু এবং পরিবারের বন্ধু ছাড়া, কেউ যদি ছবি তুলতে আসে, তাহলে সে যেন দূরত্ব বজায় রাখেন নিজের উদ্যোগে।
অনেক চিন্তা করে দেখলাম এই শহরে শাহেদ,সাবরিনা এবং আরিফের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,আর এই ধরনের লোকজন ছবিকে অবলম্বন করে সামনের দিকে হেঁটে যায়।
এর মধ্যে আরেকজন ধরা পড়লো তুর্না হাসান,ছাত্রলীগ করতো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো,কথাবার্তা ভালো, এমন একটা মেয়ে কিভাবে এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে,ভাবতেই অবাক লাগে,আসলে সব কিছুর মূলে রয়েছে অর্থ।
জীবনে দুটো রাস্তা থাকে, একটি হচ্ছে সৎ হয়ে বেঁচে থাকা, আরেকটি হচ্ছে যে ভাবেই হোক, অর্থ পাওয়ার জন্য,যে কোন ধরনের কাজ আপনি করতে পারবেন।
গতকাল থেকে আমার কিছু শুভকাঙ্খী আমার ম্যাসেঞ্জারে এ লিখে যাচ্ছে, আপা তুর্না’র সাথে ছবি আপনার, আপনি ট্যাগ সরিয়ে ফেলেন,তো আমি উত্তর দিলাম,ভাই কতো মানুষের সাথে আমদের ছবি তুলতে হয়।
এখন কে তুর্না, কে সাবরিনা, কে পাপিয়া সেটা তো আমরা জানি না এবং আমাদের জানারও কথা নয়।কেউ যদি ছবি তুলতে আসে আপনি কি করে মানা করবেন।
আর সেলিব্রিটিদের সাথে সবাই ছবি তুলতে আসবে এবং এটাই স্বাভাবিক। ম্যাসেঞ্জারে আমার যে সকল ভাই এবং বোনেরা আমাকে সাবধান করেছেন তাদের কে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমি ও অনেক সময় অনেকের সাথে ছবি তুলেছি,যেমন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাথে ছবি তুলেছি, এখন এই ছবিটির সন্মান দেয়ার চেষ্টা আমাকে করতে হবে।
আমি এমন কিছু কখনোই করবো না, যেন এই ছবিটির অবমূল্যায়ন না হয়, ইনশাআল্লাহ সেটা আমি করবো। এটা আমার দায়িত্ব। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়, এই ছোট জীবনটাকে উপভোগ করুণ অত্যন্ত সততার সাথে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ থাকবেন। জয় বাংলা।
লেখক: অভিনয়শিল্পী
ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এসকেএস