এশিয়া প্যাসিফিকে ডিজিটাল রূপান্তরে ভূমিকা রাখবে হুয়াওয়ে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট ২০২০, ২০:২৬

‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন লিডিং টু অ্যাডাপ্টিভ এন্টারপ্রাইজেস’ প্রতিপাদ্যে সম্প্রতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হলো হুয়াওয়ে অ্যাপাক এন্টারপ্রাইজ ডিজিটালাইজেশন সামিট। এ সামিটে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের খাত সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। তারা ফাইভজি, ক্লাউড এবং এআইর মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে পারে এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে সামিটে আলোচনা করেন।

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে শিল্পক্ষেত্রে ডিজিটালকরণ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে, যা শিল্পখাতের টিকে থাকার সক্ষমতা এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনারই লক্ষণ। এক্ষেত্রে, ভবিষ্যতমুখী আইসিটি অবকাঠামো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভূতপূর্ব এ পরিবর্তনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে এবং ব্যবসার মডেলে পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে।

সামিটে হুয়াওয়ের ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের গ্রুপ ভাইস প্রেসিডেন্ট সান্দ্রা এনজি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো কোভিড অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছে এবং পরবর্তী স্বাভাবিকতায় প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে পৌঁছাতে নিজেদের প্রস্তুত করছে; এ অবস্থায় ডিজিটাল/আইটি এবং নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো সিইও’র নতুন ব্যবসায়িক এজেন্ডার মধ্যে অন্যতম।’

তিনি বলেন, ‘নির্বিঘ্নে এ রূপান্তর নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’ সামিটে তিনি এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা নেতৃবৃন্দের জন্য নতুন ব্যবসায়িক এজেন্ডা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে: প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ভরযোগ্য আইটি অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, গ্রাহক অভিজ্ঞতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং নতুন প্রযুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) বৈশ্বিক দ্বিবার্ষিক ডিজিটাল রূপান্তর ব্যয় নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে শুধুমাত্র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্যবসায়িক অনুশীলনী, পণ্য এবং সংস্থার ডিজিটাল রূপান্তর উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রযুক্তি ও সেবায় সর্বমোট ৩৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে ১৭.৪ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সাথে বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

ফাইভজি ও আইওটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে এবং অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই তাদের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় সেরা ও উপযুক্ত প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো ব্যবহার করছে। ফাইভজি ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় হুয়াওয়ে সামগ্রিকভাবে ফাইভজি’র ব্যবহার ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চিফ টেকনোলজি অফিসার ব্র্যান্ডন উ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেরা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, যা সকল ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সক্ষম।

হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের চিফ টেকনোলজি অফিসার ডব্লিউকে লিউং এর মতে, ডিজিটাল রূপান্তর সমর্থনের জন্য কনভার্জড নেটওয়ার্ক অন্যতম মৌলিক বিষয়। একটি প্রতিষ্ঠানের আইসিটি ক্ষেত্র সাধারণত দু’টি প্রধান বিষয়ের ওপর গঠিত হয়। যথা- ডাটা সেন্টার এবং ক্যাম্পাস। উদাহরণস্বরূপ, হুয়াওয়ের ইন্টেলিজেন্ট ক্যাম্পাস স্ট্র্যাটেজি -তে কনভার্জড নেটওয়ার্ক এবং ভার্টিকাল লেয়ার ডিকাপলিং -কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ফাইভজি চালিত ইন্টেলিজেন্ট একীভূত নেটওয়ার্ক বিশ্বের বিভিন্ন শিল্পখাতে গ্রাহকদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাব প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাউড রূপান্তরের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করেছে। বিশেষ করে, প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিচালনা প্রক্রিয়ার পুনর্গঠনে এবং তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে হাইব্রিড ক্লাউড গুরুত্ব পাচ্ছে।

হুয়াওয়ের ক্লাউড ও এআই বিজনেস গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার এডওয়ার্ড ডেং বলেন, 'হুয়াওয়ে ক্লাউডের সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সমাধানগুলো প্রতিটি শিল্পখাতে বৃহৎ আকারের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য মূল উৎপাদন ব্যবস্থায় প্রয়োগ করা হয়েছে।' তিনি আরো বলেন, 'বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাউড রূপান্তরের ক্ষেত্রে এ সমাধান সঠিক নির্দেশনা দিবে।'

মালয়েশিয়ার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সানওয়ে গ্রুপ হুয়াওয়ের গ্রাহক ও অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। সানওয়ে গ্রুপের চিফ ইনফরমেশন অফিসার কেভিন খু বলেন, 'সানওয়েতে আমাদের ব্যবসায়িক কৌশলের মূলে রয়েছে ক্লাউড। আমরা প্রত্যাশা করছি, এ কৌশলের অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে যেতে হুয়াওয়ে আমাদের সাহায়তা করবে।'

ডেং এর প্রত্যাশা, ক্লাউড ও ফাইভজি সহ অন্যান্য প্রযুক্তি দ্বারা সমর্থিত মূল কানেকন্টিভিটি এবং এআই চালিত নতুন প্রযুক্তি ও অ্যাপ্লিকেশন অকল্পনীয় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সাধনে ভূমিকা রাখবে। ডেং বলেন, ‘আমাদের অংশীদারদের সাথে নিয়ে সবার সমন্বিত সাফল্যে প্রবৃদ্ধিশীল ইকোসিস্টেম তৈরিতে হুয়াওয়ে ক্লাউড অঙ্গীকারবদ্ধ।’

(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা