তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
| আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২০, ২০:৫০ | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০২০, ২০:২১

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহবানে তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে দুই তীরের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামের হাজিরহাট চিলাখাল এলাকায় তিস্তা নদীর বাঁধে এ মানববন্ধন হয়।

এতে বক্তব্য দেন- তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কালীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি আমিনুর রহমান দুলাল, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল খালেক, মমিনুর ইসলাম, খালেকসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় বক্তরা আরো বলেন- খরা, বন্যা ও নদী ভাঙনে তিস্তাপাড়ের মানুষ দিশেহারা। নদী ভাঙনের ফলে তিস্তা নদীর প্রস্থ ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার কোথাও তারও বেশি। ফলে দুই পাড়ে লাখ লাখ মানুষ আবাদি জমিসহ বাড়ি ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিস্তার দুই পাড়ের মানুষ বর্ষাকালে বন্যায় এবং গ্রীষ্মকালে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারে না। অপর দিকে তিস্তার উজানে ভারত এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় নাব্য না থাকায় তিস্তা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মহাপরিকল্পনায় গৃহিত ‘তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুর্নরুদ্ধার’ প্রকল্পে আওতায় তিস্তা নদীগর্ভে ড্রেজিং, পাড় সংস্কার ও বাঁধানো এবং ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে। তাছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বাঁধ মেরামত করা হবে। নদী ড্রেজিং, অবকাঠামো নির্মাণের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, গ্রীষ্মকালে পানির সংকট দূর ও নদী ভাঙন প্রতিরোধ হবে। তিস্তা থেকে সৃষ্ট শাখা নদী ও অন্যান্য নদীগুলোতে ড্রেজিং ও পাড় নির্মাণ করে পানি প্রবাহ সঠিক রাখা ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে নদীর পানি ব্যবহার যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :