সিএনজি চুরি ও মলমপার্টির ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২১, ১৫:৫০ | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০২১, ১৫:১১
গ্রেপ্তার হওয়া মলমপার্টির সদস্যরা।

কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি চুরি চক্রের দুই সদস্যকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এছাড়াও রাজধানীতে মলমপার্টির সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাহিনীটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, একটি চক্র বেশি লাভের উদ্দেশ্যে চোরাই সিএনজি নিজেদের কাছে রেখে জাল রেজিস্ট্রেশন ও নম্বর প্লেট তৈরি করে বিক্রি করছে এমন অভিযোগে অভিযান চালায় সিআইডি। বুধবার ভোর পৌনে সাতটার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড়ের শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে মো. শাহআলম ও মো. জামাল উদ্দিন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সিএনজি ও জাল কাগজপত্র।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ ওমর ফারুক জানান, সিএনজি সংগ্রহের পর ভুয়া নম্বর প্লেট লাগাতো চক্রটি। এরপর নতুন রং লাগিয়ে বিক্রি করে দিত। এই চক্রটি দুই মাসে ১৫ থেকে ২৯ সিএনজি কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সংগ্রহ করেছে। তাদের ব্যবহৃত নম্বর প্লেটগুলো বিআরটিএর নম্বর নয়। সেগুলো ভুয়া।

ওমর ফারুক বলেন, আমাদের পাওয়া তথ্যমতে এই চক্রটি বেশ শক্তিশালী ও সক্রিয়। বর্তমান বাজারে সিএনজির দাম চড়া হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করে ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ করার সম্ভবনা রয়েছে।

একই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় রাজধানীর উত্তরা আবদুল্লাহপুর থেকে থেকে অভিযান চালিয়ে মলমপার্টির সাত সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তারা হলেন- স্বপন, ফিরোজ, মাসুদ রানা, শহীদুল ইসলাম, জাকির হোসেন জাকির, শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল এবং হাবিবুর রহমান সিরাজ ওরফে সিরাজ মুন্সী।

এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট কৌটা ভর্তি মলম, ছোট একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাইগার বাম জাতীয় মলম, একটি স্টিলের ছোট কাঁচি, একপাতা ১০টি মাইলাম-৭.৫ ঘুমের ওষুধ।

আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রোডের শিকদার এন্টারপ্রাইজের সামনে থেকে বুধবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মলমপার্টির সক্রিয় সদস্যরা একত্রিত হয়ে কৌশলে সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে চেতনানাশক ওষুধ ও মলম প্রয়োগ করে টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয় বলে জানান শেখ ওমর ফারুক।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রের আটজন সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছে। তারা কোথায় অভিযান চালাবে এর আগে তারা জায়গাটি আগে রেকি করে নেয়। এছাড়াও তারা যে বাসে অপারেশন করে সেই বাসের কন্ডাক্টরও বিষয়টি জেনে থাকে। তাকে এই টাকার ভাগ দেয়া হয়।

ওমর ফারুক বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কেউ ১৪ বছর, কেউ এক দুই মাস ধরে কাজ করছে। এরা পেশায় কেউ দোকানদার, কেউ ফটোগ্রাফার ছিল। তারা কম পরিশ্রমে বেশি টাকায় আয় করার লোভে এই পেশায় এসেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, মলমপার্টির সংখ্যা কত এমন পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার খালিদুল হক হাওলাদার এবং সহকারী মোহাম্মদ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪ মার্চ/এএ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

বহিষ্কৃত কাউন্সিলর শিপলুর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখার ডিভাইস দিতো চক্রটি, ৫ মিনিটে শেষ হতো উত্তর

চক্রের টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ, চাকরির প্রলোভনে ভারতে নিয়ে কিডনি বিক্রি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এজাহারভুক্ত পলাতক সদস্য গ্রেপ্তার

মিল্টনের ডেরায় পাওয়া যুবকের পেটে কাটা দাগ, রহস্য জানতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা!

টাকায় কেনা কারিগরি বোর্ডের সনদের তালিকা পেয়েছে ডিবি

বেইলি রোডে আগুন: দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ‘কাচ্চি ভাই’র মালিক

৪২০ টাকা মূল্যের ওমানি মুদ্রা লাখে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১

রাজধানীতে র‌্যাবের হাতে ১২ চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :