ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনায় গফরগাঁওয়ের চাষির মুখে হাসি

ফরিদুল আলম সজীব, গফরগাঁও
| আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২১, ১৬:০৭ | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২১, ১৬:০৫

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যাপক হারে ভুট্টা চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গফরগাঁওয়ের উদ্যোগে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং সহায়তায় তারা এই ভুট্টা চাষ করছেন। বিশেষ করে উপজেলার টাঙ্গাব ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে।

শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল এসব কৃষি জমিতে ভুট্টা চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি। কৃষকদের জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল বিবর্তন। চলতি মৌসুমে গফরগাঁওয়ে ১৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। ভুট্টার ভালো উৎপাদনের সম্ভাবনায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভুট্টার আবাদ হচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে উপজেলার দত্তেরবাজার ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের দোবাসিয়া, বামনখালী, টাঙ্গাব ও ডাক-বাংলাসহ গ্রামের পর গ্রাম দিগন্ত জুড়ে চোখ জুড়ানো সবুজ ভুট্টা ক্ষেত। কৃষি বিভাগ আশা করছে, এবার কম করে হলেও উপজেলায় ১৮০০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হবে।

বামনখালী গ্রামের ভুট্টা চাষি মোখলেছুর রহমান জানান, তিনি এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। অবস্থা দেখে তিনি বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

তিনি বলেন, ‘সাত শতাংশ জমিতে ধান চাষ করতে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা খরচ হয়। সেখানে একই পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষে খরচ হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সাত শতাংশে অন্তত ছয় মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়। প্রতি সাত শতাংশে খরচ বাদে ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা লাভ হয়।

একই গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ৩০ শতাংশ জমি থেকে অন্তত ২৫ থেকে ২৬ মণ ভুট্টা ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় তাকেসহ অন্য কৃষকদের উৎসাহ ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

বামনখালী গ্রামের কৃষক জোসনা বেগম জানান, তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তার ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় বীজ ও রাসায়নিক সার দিয়েছে। প্রদর্শনী প্লটের বাইরেও তিনি বেশ কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।

তাদের মতো টাঙ্গাব ইউনিয়নের আরও অনেক কৃষক ভুট্টার আবাদ করেছেন। তারাও বাম্পার ফলনের আশা করছেন। ভুট্টা চাষে লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জীবনযাত্রার মান বদলাতে শুরু করেছে।

গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, স্বল্প খরচে অধিক উৎপাদনকারী ফসল ভুট্টা। গফরগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দেশে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি পোল্ট্রি, ডেইরি ও ফিশফিড হিসেবেও এর চাহিদা প্রচুর। এছাড়াও মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত চাল ও গমের ওপর চাপ কমাতেও সরকার অধিক হারে ভুট্টা চাষের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :