কালো টাকা সাদার সুযোগ বিষয়ে অপেক্ষায় রাখলেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২১, ১৭:৫৬
অ- অ+
ফাইল ছবি

চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রী বলেন, কালো টাকা সাদা করার বর্তমান সুযোগ বহাল রাখা হবে কি হবে না, তা জানার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৯ জুন অর্থবিল পাস হবে। ওই দিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ওইদিনই জানা যাবে কালো টাকা সাদা করার নিয়ম বহাল থাকবে কি না।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যতদিন অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে ততদিন কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হবে।

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে ধারণা করা হয়েছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগটি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু গত ৩ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এমনকি অর্থবিলেও দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচানার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর ব্যাখাও দেন অর্থমন্ত্রী। চলমান সুযোগটি বহাল রাখার আভাস দিলেও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি।

এর আগে চলতি অর্থবছরটি শেষ হতে যাচ্ছে তাতে নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, জমি সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতে ঢালাওভাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকার সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। এখন সুযোগটি আরও এক বছরের জন্যবহল রাখা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সরকারি শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন অর্থমন্ত্রী।

নতুন বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি-না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমি শঙ্কিত নই। কারণ, চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা যাবে।’ এ জন্য অনেক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেটে ঘাটতি আমাদের একার নয়, সবার। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এ বিষয়টি সাংঘর্ষিক না হয়। আমরা সেটিই অনুসরণ করেছি তা বলব না, অনেক আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়ে সেই কাজটি শুরু করেছে এই দেশে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমেরিকার বাজেট ঘাটতি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, চায়নার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ধনী অথবা ধনী নয়, উন্নয়নশীল অথবা উন্নত দেশের সবাই কিন্তু এ বাজেট ঘাটতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসআই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না আওয়ামী লীগ’
হাসিনা-রেহানা জয়-পুতুলের নামে সমন বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
‘আরএমপি এখন রাজশাহী মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে জনগণের আস্থা’
ফুল গিয়ারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা