‘নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আর লাশ দেখতে চাই না’

‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। জীবনে বহু লাশ দেখেছি। এবারের নির্বাচনে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না।’
রবিবার দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত নিউ সমবায় ভবনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রার্থী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মাঠে থাকবে। প্রয়োজনে আরও কিছু নিয়ে আসবো। কিন্তু নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
ইভিএমে ভোট কারচুপি করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, যার ভোট সে দিবে। যদি কোনো প্রার্থী প্রমাণ করতে পারেন ইভিএমের মাধ্যমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে তাহলে আমি ইভিএম পরিবর্তন করে দেবো। কোনো ভোটার ইভিএমে একটি ভোট দিলে সেটা দুইটিতে রূপান্তরিত করার কোনো সুযোগ নাই। সুতরাং ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট শনাক্ত হওয়ার পর অন্য কেউ গিয়ে তার ভোট চাপতে চায় তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা প্রয়োজনে সেই ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে পুনরায় ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।
প্রচারকাজের বিষেয় নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নিয়ম বর্হিভূত কোনো আচরণ করলে নিয়োজিত প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে মাইক জব্দ ও জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে আইন ভঙ্গকারীকে হাজতে পাঠাবে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন। যদি প্রশাসন এমনটা না করে তাহলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা দয়া করে এমনটা মনে করবেন না, আমরা উদাসীন হয়ে আছি। আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে।
রফিকুল ইসলাম ছাড়াও মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার আফরোজা আক্তার, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা মতিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/কেএম)

মন্তব্য করুন