‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:১১

‘বাঙালি সত্তা, বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু’ বলেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো ও বাংলাদেশ চেয়ার প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

বৃহস্পতিবার জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক এক পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. হারুন-অর-রশিদ। পাবলিক লেকচারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. রশিদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. রাহুল মুখার্জি। আর সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন প্রফেসর ড. হ্যান্স হাডার।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ড. হারুন-অর-রশিদ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা ছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলে (বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকা) বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যা দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল 'দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো', বাঙালি সত্তা ধারণ ও বাঙালির জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু আজীবন গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক চর্চা করেছেন। তিনি কখনোই সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। শান্তিপূর্ণ পন্থায় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ না থাকায় এবং ইয়াহিয়া খান কর্তৃক বাঙালির উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।’

বাংলাদেশ চেয়ার ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৎকালীন উগ্র ও চিন্তাপন্থী বিভিন্ন বিরোধীদল, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী মহল যুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট নবীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নবীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষা ও তার চির আরাধ্য ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো'র লক্ষ্য অর্জনে ১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় বিপ্লব বা system Change নামে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঠিক এমনই এক অবস্থায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী তাঁকে সপরিবারে অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।’

ড. রশিদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল 'সোনার বাংলা' প্রতিষ্ঠা। কিন্তু ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কারণে তাঁর সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা'র দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একই কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ববাসীর কাছে আজ এক বড় বিস্ময়!’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী, দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি, ড. মার্টিন গেইজেল ম্যান, ড. পিটার ডিটার, প্রফেসর সুব্রত কে মিত্র, ড. উল্ফম্যান পিটারসহ বিপুল সংখ্যক অধ্যাপক, গবেষক ও ফ্যাকাল্টি সদস্য। অনুষ্ঠান শেষে একটি রিসিপশনের আয়োজন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাবি পড়ুয়াদের নেতৃত্বে মাহমুদ-রিয়াদ

রাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৭৫.৫০ শতাংশ

স্কুল-কলেজের সভাপতিকে হতে হবে এইচএসসি পাস, গেজেট জারি

ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ও অগ্রায়ন অনুষ্ঠিত

শেষ হলো ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের প্রথমদিনের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ও অগ্রায়ন আজ

বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ চেয়ে আইনি নোটিশ

বেরোবিতে বিশিষ্ট পরামাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

পৃথিবী যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন-কর্ম বেঁচে থাকবে: ঢাবি উপাচার্য

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :