গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের উদ্যাগে এ সমাবেশ করা হয়েছে।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা গাজায় যুদ্ধ বিরতি চাচ্ছি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা এই সমাবেশ থেকে তিনটা দাবি জানাচ্ছি। সেগুলো হলো - ১. গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ২. গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে পৃথিবীব্যাপী আমেরিকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে এবং তাদের উপর সে দেশের সরকার যে নিপীড়ন করছে সেটা বন্ধ করতে হবে। ৩. আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ
ইসরাইলকে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে সেটা বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সবাইকে একত্র হয়ে ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে হবে। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। বাংলাদেশ যদি একটা জাতীয় ঐক্য থাকতো তাহলে আমরা ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরো অনেক বড় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারতাম। আশা করি সেরকম বাংলাদেশ অচিরেই নির্মিত হবে এবং এতে আমাদের তরুণ সমাধান নেতৃত্ব দিতে পারবে।
সমাবেশে লেখক ও গবেষক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করতে করতে তাদেরকে আজ জাতি গত উচ্ছেদ এবং জাতিগত নির্মূলের জায়গায় নিয়ে গেছে। আজকে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে সেটি জাতিগত নির্মূলের একটা আকাঙ্ক্ষা; সেটা পৃথিবীর মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। ফিলিস্তিনের উপরে যে নির্যাতন করা হচ্ছে, জাতিগত উচ্ছেদ আয়োজন চলছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ব্রতী'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ বলেন, ফিলিস্তিনে কিছু চরিত্র আছে যারা আরব দেশকে বিভক্ত করে রেখেছে। আজকে আমাদেরকে বুঝতে হবে এই যুদ্ধ শুধু ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের যুদ্ধ নয়। এটা পাশ্চাত্যের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে এবং আমাদের দুর্বলতা। আমাদেরকে এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাবির রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম, শিক্ষার্থী প্রিন্স, ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফসা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল, ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এমআই/কেএম)