শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতেন সুমাইয়া, অবশেষে গ্রেপ্তার

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শিশু অপহরণ করতেন সুমাইয়া (৪৫)। এরপর ওই শিশুদের অভিভাবকদের কাছে দাবি করতেন মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। কিন্তু পরিবার মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে শিশুদের বিক্রি করে দিতেন। সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থেকে মোছা. মরিয়ম নামের দুই বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে মোছা. মরিয়ম (২) নামের এক শিশুকে অপহরণ করেন শিশু বিক্রি চক্রের মূলহোতা সুমাইয়া। পরবর্তীতে শিশুটিকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য টাকা দাবি করলে বাড্ডা থানায় লিখিত অভিযোগ করে শিশুর পরিবার। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামি সুমাইয়ার অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে বাড্ডা থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাহ আলম খলিফা, এএসআই রুহুল আমিন ও নারী পুলিশ সাথী আক্তারের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করে এবং মরিয়মকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুমাইয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শিশুদের অপহরণ করে বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেছে সুমাইয়া।
বাড্ডা জোনের এসি রাজন কুমার সাহা বলেন, ‘বর্তমানে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। তাই যেকোনো ধরনের অপরাধচক্রকে খুঁজে বের করে রহস্য উদঘাটন করার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। একইসঙ্গে এ ধরনের চক্রের থেকে সতর্ক থাকতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবানও জানান তিনি।’
(ঢাকাটাইমস/২০মে/এলএম/এসআইএস)

মন্তব্য করুন