কোন দেশে মৃত্যুদণ্ড কেমন?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২২, ১০:৪১| আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১০:৪৪
অ- অ+

পৃথিবীতে আইনি শাস্তির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড সবচেয়ে পুরোনো। অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পন্থা একেক দেশে একেক রকম। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়ার। আগে হাতির পায়ের নিচে পিষে মারা বা আগুনে পুড়িয়ে মারা কিংবা শূলে চড়ানো হতো। কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চার হাত-পা ছিঁড়ে ফেলে অপরাধীর মৃত্যু কার্যকর হতো। এখন বেশির ভাগ জাতি-রাষ্ট্র মৃত্যুদণ্ড প্রথা রদ করেছে। পৃথিবীর ৯৭টি দেশে এখন মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত। ৫৮টি দেশে এখনো এই প্রথা চালু রয়েছে।

বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, ২৫টি ভিন্ন অপরাধের জন্য রাজা হাম্মুরাবি কোড অনুযায়ী খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে প্রথম আইন হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে এথেন্সের ড্রাকোনিয়ান কোড অনুযায়ী সমস্ত অপরাধের একমাত্র শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করা হয়েছিলো।

পৃথিবীরে কোন দেশে কীভাবে কার্যকর হয় মৃত্যুদণ্ড: এশিয়া মহাদেশ, লাইবেরিয়া ও ওয়াশিংটনে ফাঁসির মাধ্যমে অপরাধীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে ফাঁসি সবচেয়ে প্রচলিত শাস্তি হিসেবে পরিচিত।

মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরব ও কাতারে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্য্কর করা হয়। এই আইনটি ইসলামি শরিয়াহ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, মিসৌরি ও এরিজোনা রাজ্যে গ্যাস চেম্বারে অপরাধীদের প্রবেশ করিয়ে মৃত্যুদণ্ড সম্পন্ন করা হয়। একটি আবদ্ধ ঘরে সায়ানাইড পিল ও সালফিউরিক এসিডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করা হয়, যাতে করে আসামির খিঁচুনি শুরু হয়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয়।

ইলেকট্রিক চেয়ারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কিছু অঞ্চলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। একটি ওক কাঠের চেয়ার ব্যবহার করা হয় যাতে ইলেকট্রিক লাইন দেয়া থাকে। আসামিকে সে চেয়ারে বসানোর পর মাথায় মেটালিক হেলমেট পরানো হয়, যাতে ইলেকট্রিক সংযোগ থাকে। প্রথম ৮ সেকেন্ডে ২৩০০ ভোল্ট এরপর ২২ সেকেন্ডে ১০০০ ভোল্ট প্রবাহিত করা হয়।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ডের রায়।

অন্যদিকে চীন, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আসামিকে একটি ঘরের মধ্যে দাঁড় করানো হয়। ২০ ফুট দূরত্বে পাঁচটি রাইফেল প্রস্তুত থাকে। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই হৃৎপিণ্ড বরাবর গুলি ছোড়া হয়।

মানবিক কারণে বিভিন্ন দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। কারণ ভুলক্রমে নির্দোষ ব্যক্তির মৃত্যু হলে সেটা বিচারের অবমাননা বলে গণ্য হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ওএফ/আরকেএইচ/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিবৃতি: মিডিয়াকে হুমকি প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
কুমিল্লায় নার্সারি থেকে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহে সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা