আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনঃখনন এগিয়ে নেবো: তাপস

সিএস ম্যাপ অনুযায়ী আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনঃখনন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার নগরীর শহীদ নগর এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশের পুনঃখনন কার্যক্রম নেওয়া হবে এবং আমরা এর সঙ্গে সঙ্গে সীমানাটা নির্ধারণ করব। আমরা সিএস মানচিত্র (ম্যাপ) দেখে পরিপূর্ণভাবে আদি বুড়িগঙ্গার সীমানা নির্ধারণ করব। তারপর সীমানা বেষ্টনী দেবো এবং এই খনন কার্যক্রম আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনঃখননে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী অর্থবছরে আরও বেশি বরাদ্দ রাখা হবে এবং পরিপূর্ণভাবে যেন খনন করা যায়, সেই কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা আনন্দের বিষয় যে, আমরা কাজটি শুরু করতে পেরেছি।’

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল নিয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এখানে একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করব। আপনারা জানেন, পুরো কামরাঙ্গীরচর নিয়ে মহাপরিকল্পনা আলোকে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সুতারাং আদি বুড়িগঙ্গা, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, চকবাজার ও পুরান ঢাকা ঘিরে কিভাবে একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়, কিভাবে নদীর প্রবাহ ও নদী পুনরুদ্ধার করে ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি বাসযোগ্য নগরী উপহার দেওয়া যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।’

এরপর দক্ষিণ সিটি মেয়র নগরীর ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিদা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/কেআর/কেএম)