ইউসিবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন বিএনএস গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক এম এন এইচ বুলু।

মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ মামলা করেন তিনি। পরে সুপ্রিম কোর্টের ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এম এন এইচ বুলু তার মামলা করার তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বুলু বলেন, ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বনানী শাখা ২০১৫ সালের ৪ মার্চ মিথ্যা বর্ণনা দিয়া আমার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। ওই মামলায় তারা আমাকে আমির ফুড প্রোডাক্টস নামীয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের নমিনি হিসাবে উল্লেখ করে।’

বিষয়টা তিনি জানতে পেরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ফোনের মাধ্যমে জোরালো অভিযোগ করেন দাবি করে বুলু বলেন, ‘আমি ওই অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনি নই। অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনি ফরমে আমি স্বাক্ষর করিনি এবং ওই অ্যাকাউন্ট খোলাসহ কোনো কার্যক্রমে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।’

পরবর্তী সময়ে তিনি সিএমএম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান বলে জানান এম এন এইচ বুলু।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের করা ওই মামলার সূত্র ধরে পরে সিআইডি বুলুর বিরুদ্ধে আবার বনানী থানায় একটি মামলা করে।

বুলু বলেন, ‘মামলায় আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে ১২ লাখ টাকা আমার হিসাবে জমা দেখানো হয়। কিন্তু ওই দিন আমির ফুড নামীয় হিসাব থেকে আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা আসেনি। ওই মামলায় আমি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ চার মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে ছিলাম।’

ওই সময় তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে জানান বুলু। সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এর জেরে গত বছরের ৬ জুন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হই এবং এখন পর্যন্ত আমি শারীরিক নানারকম সমস্যায় ভুগছি এবং পায়ের সমস্যার কারণে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারি না।’

মানহানি মামলা করার কারণ হিসেবে বুলু বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় চার মাস বিনা বিচারে জেলহাজতে থাকাকালীন আমার ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব হয়নি। আমার সমস্ত ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায়। আমার সামাজিক, ব্যাংকিং কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে আমি ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। খুদে বার্তা পাঠালেও তার কোনো জবাব মেলেনি।

(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/বিএস/মোআ)