প্রতিবন্ধী ভক্তের সঙ্গে দেখা করতে বগুড়ায় অনন্ত-বর্ষা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৭

বগুড়ার প্রতিবন্ধী যুবক সোহেল রানা (৩৫)। চলচ্চিত্র জগতের সুপার স্টার অনন্ত জলিলের অন্ধ ভক্ত তিনি। অনন্ত জলিল এবং বর্ষা জুটির প্রথম ছবি ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমা মুক্তির পর থেকেই সোহেল রানা নায়ক অনন্ত’র ভক্ত বনে যান। এরপর অনেক চেষ্টার পর অনন্ত জলিলের ফোন নাম্বার যোগাযোগ করে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এরপর থেকেই অনন্ত জলিলের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

এর মাঝে অনন্ত জলিল তার ভক্ত সোহেল রানাকে কথা দিয়েছিলেন তার নতুন কোন সিনেমা মুক্তি পেলে তিনি বগুড়ায় যাবেন। তার গ্রামে যাবেন। ভক্তকে দেয়া কথা রেখেছেন এই নায়ক।

বৃহস্পতিবার পৌনে ১টায় তার স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে উড়ে যান সোহেল রানার গ্রাম কাহালু উপজেলার জামগ্রামের কালিপাড়া গ্রামে। এরপর তারা রানাকে সঙ্গে করে দুপুরের খাবার খান। পরে তারা তিনজনে হেলিকপ্টারে বগুড়া সদরে পৌঁছান। সেখান থেকে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে বিকাল ৩টায় এই জুটির নতুন ছবি ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা দেখেন।

অনন্ত-বর্ষা জুটি তাদের ভক্ত সোহেল রানার গ্রামে হেলিকপ্টারে পৌঁছার পর সেখানে শত শত মানুষ ভিড় করে। নায়ক-নায়িকা জন্য কালিপাড়া ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টেজ সাজানো হয়। স্টেজেই ভক্ত রানাকে নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অনন্ত-বর্ষা।

এ সময় সোহেল রানা বলেন, অনন্ত জলিলের মতো বড় মাপের মানুষকে যখনই ফোন দিয়েছি, তখনই তিনি কথা বলেছেন। আজ তিনি শুধু আমার কথা রাখতে বগুড়া এসেছেন। এ আনন্দ আমি বলে বোঝাতে পারব না। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আমিও চেষ্টা করি তাকে আরও বেশি ভালোবাসার।

এ সময় নায়িকা বর্ষা বলেন, আমি গ্রামের মেয়ে। গ্রামে বড় হয়েছি। রানার জন্য অনেক দিন পর আবার গ্রামে আসতে পারলাম। এ জন্য খুব ভালো লাগছে।

‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্র সম্পর্কে বর্ষা বলেন, দেশে চলচ্চিত্রের ধারায় পরিবর্তন আসছে। হলিউড, বলিউডের ধাঁচেও আমরা ছবি করতে পারি। এমনই একটি চলচ্চিত্র দিন-দ্য ডে। এর অ্যাকশন, গল্প সব কিছু দর্শকদের ভালো লাগবে। অনেক সিনেমা হলে দেখেছি সন্তান কোলে নিয়ে মা এসেছেন চলচ্চিত্র দেখতে। মানুষের ভালো সিনেমা দেখার এই আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

অনন্ত জলিল বলেন, যত সচিব, আমলা, ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে গ্রাম থেকে। এ জন্য গ্রামকে কখনও ছোট করা যাবে না। আজকে বগুড়া আসার একটি বড় কারণ রানা। রানাকে দেখার পাশাপাশি আপনাদের কাছেও আসতে পেরেছি। ওর বাবা-মাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওর মন আপনার-আমার চেয়ে অনেক বড়।

তিনি আরো বলেন, রানার ‍দুটো পা-ই অচল। আমি রানাকে ঢাকা নিয়ে যাব। ওর পাসপোর্ট করাব, ওকে থাইল্যান্ড নিয়ে যাব চিকিৎসার জন্য। আমি চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

দুপুর ২টায় হেলিকপ্টারে করে বগুড়া সদরের উদ্যেশ্যে রওনা দেন তারা। বিকাল তিনটায় তারা বগুড়া মধুবন সিনেপ্লেক্সে এসে পৌঁছান। এ সময় অনন্ত-বর্ষাকে কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য লোকজন ভিড় করেন। এছাড়া ভক্তরা তাদের সঙ্গে মোবাইল সেলফি উঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

হলে সিনেমা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এই জুটি। এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, বগুড়া অনেক আধুনিক একটি শহর। মধুবন সিনেমা হলে ঢোকার পর তার মনে হচ্ছে তিনি দুবাইতে পৌঁছে গেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :