স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার: বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৪:৫৪

সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এমন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি—বাজুস। অর্থপাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

শনিবার ঢাকায় সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাজুস চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন এ তথ্য দেন। জুয়েলারি শিল্পের বাজারে অস্থিরতা, সঙ্কট, চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম, অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে কাস্টমসসহ আইন-প্রয়োগকারি সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাজুস।

এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও গোল্ডবার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সঙ্কটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

বাজুসের পক্ষে সমিতির চেয়ারম্যান প্রস্তাব করেন, স্বর্ণ চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি, মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন করতে হবে।

এছাড়া ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট ও চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাব করেছে বাজুস।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট মোকাবিলায় গহনার মান উন্নয়নে হলমার্ক নীতিমালা ও ডায়মন্ড নীতিমালা প্রণয়নে সরকারের কাছে দাবি জানায় বাজুস।

এছাড়া হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণ বিক্রয়কারী কোনো অলংকার বিক্রি করতে পারবে না জানিয়ে বাজুস বলছে, যদি বি‌ক্রি করে অভিযুক্তদের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানাবে বাজুস।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/বিএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :