সরকারি দলের লোকেরাই নদী দখল করে: কামরুল ইসলাম

সরকারি দলের লোকেরাই নদী দখল করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।

শনিবার সকাল ১০টায় কামরাঙ্গীরচর মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠে অনুষ্ঠিত দূষণমুক্ত নদীর প্রত্যয়ে 'বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভাল ২০২২' উপলক্ষে র‌্যালিপূর্বক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এসব দখলবাজরা কোনো দলের নয়, এরা সব সরকারের পিঠে ছাওয়ার হয়। এ সময় তিনি লন্ডনের টেম্প নদী ও চিনের হোয়াংহো নদীর ইতিহাস টেনে বলেন, টেম্প নদী দখল মুক্ত করতে ৪০ বছর লেগেছে, হোয়াংহো নদী দখলমুক্ত করতেও অনেক সময় লেগেছে। আমরা বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করেই ছাড়ব।

সাবেক এই থাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আদি চ্যানেল উদ্ধারের কাজ চলছে। এতে অনেকের বাড়িঘর ভাঙা পড়বে, কিন্তু কেউ আমাদের সাহাযা পাবেন না। চার দিকে রাস্তা হবে, ওয়াটার বাস চালু হবে পুরাপুরি। এটা হলে শহরের যানযট অনেকটা মুক্ত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, নদী বাঁচাতে কেন আন্দোলন করতে হবে? এটা কোন সরকারের দেশ না, এটা দলের দেশ না, এটা জনগণের দেশ। জনগণের নদী জনগণকে ফেরত দিতে হবে।

বিআইডাব্লিউটিএ এর প্রধান প্রকৌশলী ও ড্রেজিং প্রকল্পের প্রধান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে প্রাণ দিতে ইতোমধ্যে যমুনা নদী ও ব্রাম্মপূত্র নদী হতে পানি এনে বুড়িগঙ্গাকে সচলের করতে কাজ করছে সরকার। শীগ্রই এ কর্মযজ্ঞ ঢাকাবাসীর চোখে পরবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, ইউ এস এ আই ডি বাংলাদেশের ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ম্যাক্রেস, পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক জামিল শরীফসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে দূষণমুক্ত বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকাবাসীর প্রাণের দাবির পক্ষে একটি নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এআর)