পল্লবীতে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, আসামি বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী
রাজধানীর মিরপুরের বিএনপির নির্ধারিত সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে সন্ধ্যায় পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ৭৫ জনের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আটজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশন বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠে সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায় এবং লাঠিপেটা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘দু’ পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনারসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়। এদের মধ্যে একজনকে রাজারবাগ পুলিশ কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ব্যবহার করে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন বলেছেন বিএনপির লোকজনই প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। তারপর সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি সমাবেশের জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এএইচ/কেএম)