ঝিনাইদহে ৪৪৫টি মণ্ডপে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

প্রতি বছর শরতের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেন। এ বছরও ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ৪৪৫টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজার মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা ও শিল্পীরা। আর কয়েক দিন পরেই শুরু হবে প্রতিমা রঙের কাজ। আগামী ১ অক্টোবর মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ৪৪৫টি পূজামণ্ডপে এবার দুর্গোৎসব পালিত হবে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষ জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস জানান, এ বছর জেলা শহরসহ ৬টি উপজেলায় মোট ৪৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিল্পীরা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন। ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায় ২০টি মণ্ডপসহ সদর উপজেলায় মোট ১০৫টি, শৈলকুপায় ১২৭টি, কালীগঞ্জ ৮৭টি, কোটচাঁদপুরে ৪৬টি, মহেশপুরে ৪৭টি এবং হরিণাকুন্ডুতে ৩৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) জানান, পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল।

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এআর)