প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতেই বিএনপির আন্দোলন: সৈয়দপুরে নজরুল ইসলাম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৪

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঘোষিত ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখার বিষয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপির আলোচনা সভা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় শহরের পৌরসভা সড়কের আদিবা কনভেনশন সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

প্রধান বক্তা ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সংরক্ষিত নারী এমপি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য বিলকিস ইসলাম এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন নীলফামারী জেলা সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সৈয়দপুর জেলা কমিটির সদস্য সচিব পৌর কাউন্সিলর শাহিন আকতারসহ সৈয়দপুর ও নীলফামারী জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করে সমন্বয় ও সহমর্মিতার রাজনীতির প্রবর্তন এবং শুধু রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ নয় বরং সমাজের সব স্তরের জনগণের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষেই মূলত আমাদের ১০ দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আলোকে জনমতের ভিত্তিতেই ২৭ দফা রূপরেখাও প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অবগত করতেই ইতোমধ্যে বিভাগীয় গণসমাবেশ করা হয়েছে। জনগণকে আরও বিস্তারিত জানাতে জেলা উপজেলায় আলোচনা সভায় মিলিত হতেই আমাদের আগমন। কারণ আমরা চাই এই রূপরেখার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করলেই প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। যাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং সবাই অবাধে ভোট দিতে পারবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইতোমধ্যে জনগণ ক্ষমতায় চেপে বসা এই বিনাভোটের অবৈধ সরকারের বিদায় চায়। তাই দেশের প্রায় ৩৩টি রাজনৈতিক দল আমাদের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে চেয়েছে। তারাও গণতন্ত্র চায়, দেশ ও জনগণের কল্যাণ চায়। কারণ আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসা ও ধ্বংসের রাজনীতি দেশকে পর্যুদস্ত করে ফেলেছে। এথেকে উত্তরণে সরকার পরিবর্তনের বিকল্প নাই। দলীয় সরকারের অধীনে কখনই সঠিকভাবে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নির্ভেজাল নির্বাচন সম্ভব নয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ ও দশের সঙ্গে দলেরও মঙ্গল চাইলে এখনই এই সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নয়তো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়েই কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসনের পতন ঘটানো হবে। এরপর যে দলই ক্ষমতায় আসুক তারা যেন জনমতের ভিত্তিতে দায়বদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করে রাষ্ট্র কাঠামোকে মেরামতের মাধ্যমে একটি মানবাধিকার ও উন্নত রাজনৈতিক কালচারে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :