অফিসের বস অখুশি? জানুন খুশি করার উপায়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৮ | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০

পেশাগত কাজে সম্পর্ক তৈরি হয় বিশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতির উপর। কিন্তু অফিসের অধিকাংশ কর্মীই সেই বিশ্বাস অর্জন ও প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হন। এমন নির্দিষ্ট কয়েকজন কর্মীর কারণে বস হয়ে যান অসন্তুষ্ট, যার প্রভাব পড়ে গোটা অফিসের ওপর। অথচ পেশাগত কাজে কিছু উপায় অনুসরণ করে চললে আপনিও হতে পারেন বসের প্রিয় পাত্র। যেমন-

নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করুন

অফিসের বসকে খুশি করার প্রধান উপায় হচ্ছে নিজের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করা। যেকোনো অফিসই হোক না কেন, বস চান কাজের লোক। তারা এমন লোক পছন্দ করেন না, যারা কথা বলেন বেশি কিন্তু কাজ করেন কম। তাই কথা দিয়ে নিজেকে জাহির না করে কাজ দিয়ে বসের নজরে আসার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সময়মতো অফিসে হাজির থাকার চেষ্টা করুন

আমরা অনেকে নিয়মিত দেরি করে অফিসে আসি, কিন্তু চলে যাই নির্ধারিত সময়েই। এটা কোনো বসই পছন্দ করেন না, মানতেও পারেন না। জরুরি কোনো কাজ বা সমস্যার কারণে কালেভদ্রে একটু দেরি হতেই পারে, আবার প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস ত্যাগও করতে পারেন। তবে সেটা যেন নিয়মিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অনিয়ম, মিথ্যা এবং অজুহাত এড়িয়ে চলুন

অফিস থেকে দু’দিন ছুটি নিয়ে তিন বা চার দিন কাটানো বা ছুটির বিষয়ে বসকে না জানানো- এমন অনিয়ম আমরা অনেকেই করি। এছাড়া মিথ্যা অসুস্থতার কথা বলে অযথা ছুটি ভোগ করা এবং কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে বা কাজটি না করে পরে অফিসে এসে নানা অজুহাত দেওয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটাই। বসের সন্তুষ্টি অর্জনে এসব এড়িয়ে চলতে হবে।

বসের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না

আপনার কোনো গাফিলতির কারণে বস যদি কখনো দু’চার কথা শুনিয়ে দেয়, তাহলে তার সঙ্গে ওই সময় অযথা তর্কে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। বরং এই ভুল যেন দ্বিতীয়বার না হয় বসকে সেই প্রতিশ্রুতি দিন। আর যদি আপনি আপনার জায়গায় সঠিক থাকেন, তবে কোনোভাবেই উত্তেজিত না হয়ে বসকে ঠান্ডা মাথায় তা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।

কাজের ক্ষেত্রে চটপটে হোন

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এক কাজ নিয়ে বসে থাকা বা ছোটাছুটি করা কোনো বসই পছন্দ করেন না। চটপটে হতে না পারলে সাফল্যে পৌঁছানোর সিঁড়িটায় ধাপ কিন্তু বেড়েই যাবে। নির্ধারিত সময়ে কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে চটজলদি কাজ করবেন, সে ব্যাপারে আগে থেকে মাথায় ছক করে নিন। সে অনুযায়ী দক্ষতা এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করুন।

টিমের মধ্যে তারকা পারফর্মার হওয়ার চেষ্টা করুন

আমরা সবাই চটজলদি কাজ সেরে বাড়ির দিকে দৌড়াতে চাই। কিন্তু বসকে খুশি করতে চাইলে মাঝে মাঝে একটু বেশি সময় অফিসে থাকুন। অন্যদের কাজে টুকটাক সাহায্য করুন। আপনি অফিসকে কিছু দিলে অফিসও আপনাকে কিছু না কিছু দেবে, আজ অথবা কাল। তাই এমন ধারণা ঝেড়ে ফেলতে হবে যে, আপনি একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরেই কাজ করবেন।

প্রোঅ্যাকটিভ হোন

বস কোনো বার্তা পাঠালে চটজলদি সেটির প্রত্যুত্তর আশা করেন। দেরি হলে রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই বসের সঙ্গে অন্তত সবসময় অ্যাকটিভ থাকুন। তিনি কখন কী বার্তা পাঠান তা খেয়াল রাখুন। বার্তাটি আপনার উদ্দেশ্যে হলে চটজলদি উত্তর দিন। এছাড়া মিটিংয়ে বসে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিন। অবশ্যই তা বুঝে দিতে হবে। কারণ, না বুঝে মন্তব্য উল্টো ফল দিতে পারে।

বসকে কাজের আপডেট দিন

বস কোনো কর্মীকে কোনো কাজ দিলে পরে সেটির আপডেট জানতে চান যে ওই কাজের কত ভাগ সমাধা হলো, কতটা বাকি। এক্ষেত্রে বস জিজ্ঞেস করার আগেই তাকে আপনার কাজের ব্যাপারে আপডেট দিলে তিনি খুশি হবেন। প্রকাশ পাবে আপনার দায়িত্ববোধ। কিন্তু এক-দুদিন পার হওয়ার পরও যদি আপনি বসকে কোনো আপডেট না দেন, তাহলে তিনি ভাববেন, আপনি কোনো কাজেরই না।

বসের ব্যক্তিগত বিষয় এবং সমালোচনা এড়িয়ে চলুন

এমন অনেক কর্মী আছেন যারা আড়ালে আবডালে বসের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, সহকর্মী বা অন্যদের কাছে তার সমালোচনা করেন। এসব এড়িয়ে চলুন। কখনো বসের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে খুব গভীরে যাবেন না। বরং অন্যদের কাছে বসের প্রশংসা করুন। অযথা কেন বসকে আপনার শত্রু বানাবেন? শুধু নিজের সম্পর্কে চিন্তা করুন। আকাশের তারার মতই দীপ্ত থাকুন সবসময়।

বিরক্ত হওয়ার কারণগুলো এড়িয়ে চলুন

বস বিরক্ত হতে পারেন, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন সহকর্মীদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্কে জড়ানো, উচ্চবাক্য করা এড়িয়ে চলুন। এতে আপনার সম্পর্কে বসের কাছে সুবার্তাই যাবে। তাছাড়া রাগ কখনো বিপদ ছাড়া ভালো কিছু বয়ে আনে না। সহকর্মীদের সঙ্গে বারবার ঝামেলায় জড়ালে বস সেটা কখনোই ভালো চোখে দেখেন না। অফিসে লাল তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে পারেন আপনি।

হাতের কাজ শেষ না করে অফিস ত্যাগ নয়

আমরা অনেকেই আছি ঘড়ির কাঁটা দেখে কাজে বসি, আবার ঘড়ির কাঁটা দেখে বের হয়ে যাই। তাতে হাতে যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক না কেন। কিন্তু এতে অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা বসের অসন্তুষ্টির অন্যতম কারণ। কারণ, এমনটা করলে আপনার দায়িত্বহীনতাই প্রমাণ হয়। তাই, অফিস ত্যাগের আগে হাতে থাকা কাজটা শেষ করে তবেই বের হোন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :