কুড়িগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল যে কলেজে

কুড়িগ্রামে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার রাজারহাট উপজেলার সিঙ্গার দাবরীর হাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাতজন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তোফাজ্জুর রহমান প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

জানা গেছে,দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রাজাহাট উপজেলার সিঙ্গার দাবরীর হাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১১ জন শিক্ষার্থী এইচ এসসি পরিক্ষার নিবন্ধন করলেও পরিক্ষায় অংশ নেয় সাত জন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় সাতজনের কপালে পাশ জোটেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন,আমি মানবিক শাখা থেকে এ বছর সিঙ্গার দাবরীর হাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে পরিক্ষা দেই। আশা করছিলাম পাশ করবো। অনান্য বিষয়ে ভাল নম্বর পেলেও ইংরেজিতে ফেল করেছি। আমাদের স্যারেরা ঠিকমতো ক্লাস না নেয়ায় আমার আজ এ পরিস্থিতি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন,আমার বিশ্বাস ছিল আমি পাশ করবো।কিন্তু শেষে ফলাফল দেখে আমি হতাশ হলাম।

অভিভাবক মো. একরামুল হক বলেন, সিঙ্গার দাবরীর হাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ উপজেলার একটি নামকরা কলেজ।আমার মেয়ে এ কলেজে থেকে বাণিজ্য শাখায় পরীক্ষা দিয়েছে। এইচএসসি ফলাফল হলো শুনলাম শুধু আমার মেয়েই নয় ওই কলেজ থেকে যারা পরীক্ষা দিয়েছে সবাই না-কি ফেল করেছে।

সিঙ্গার দাবরীর হাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,আমার কলেজ থেকে এ বছর ১১ জন এইচ এসসি পরিক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছে।তবে পরিক্ষা অংশ নিয়েছে মাত্র সাত জন।

পরীক্ষায় কেউ পাস না করার বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, আমি একাই তো আর কলেজ চালাতে পারি না। কলেজে অনান্য শিক্ষকরা এখানে অনিয়মিত। তারা যদি নিয়মিত কলেজে আসতো, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সক্রিয় থাকতো তাহলে ফলাফলের এই হতাশায় পড়তাম না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগের পরিচালক প্রফেসর এস এম আব্দুল মতিন লস্কর বলেন, পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আইনগত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সভার মাধ্যমে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন নির্দেশনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/এআর)