যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ‘ভণ্ডদের আখড়া’: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:২৯| আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৫৮
অ- অ+

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর 'ভন্ডদের আখড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। টেনেসিতে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে রাজ্যের আইনসভা থেকে বহিষ্কারের ঘটনাটি দেখিয়ে ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয়।

ওই দুই আইনপ্রণেতার টেনেসির প্রতিনিধি পরিষদে তাদের সদস্যপদ হারানো নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আইনসভার সদস্যরা ভোট দিয়ে দুই সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করেছে, যদিও একজন শ্বেতাঙ্গকে রেখে দিয়েছে।‘

জয় বলেন, ‘এই হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক দল ভণ্ডদের আখড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে ওয়াশিংটনের নানা প্রতিক্রিয়া এবং র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের এমন মন্তব্য এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ মানবাধিকার প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল। দুই বছর আগে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। র‌্যাবের বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকান্ড নিয়ে ডয়েচে ভেলের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদন নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

ওই ভিডিওতে থাকা অভিযোগ ‘অত্যন্ত সাবধানতার’ সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিঁধলেন।

গত ২৭ মার্চে টেনেসির ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়। হতাহতের ওই ঘটনার পর বন্দুক আইন সংস্কার দাবির আন্দোলন দানা বাঁধে। শত শত বিক্ষোভকারী পদযাত্রা করে রাজ্যের ক্যাপিটল ভবনে গিয়ে কঠোর বন্দুক আইনের দাবি তোলে। ওই আন্দোলনে একাত্মতা জানান তিন ডেমোক্র্যাট নেতা গ্লোরিয়া জনসন, জাস্টিন জোনস ও জাস্টিন পিয়ারসন।

তারা মাইক হাতে নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে বন্দুক আইন সংস্কারের দাবি জানান। এতে তারা রোষানলে পড়েন রিপাবলিকানদের। বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার টেনেসির প্রতিনিধি পরিষদে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের’ জন্য তিন আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করতে রিপাবলিকান নেতাদের আনা একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়।

ভোটে কৃষ্ণাঙ্গ দুই আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস (২৭) ও জাস্টিন পিয়ারসন (২৮) প্রতিনিধি পরিষদ থেকে তাদের সদস্যপদ হারান। তবে একটি মাত্র ভোটের কারণে সদস্যপদ হারানো থেকে বেঁচে যান শ্বেতাঙ্গ জনসন। কীভাবে সদস্যপদ ধরে রাখা গেল সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে জনসন বলেন, ‘আমার গাত্রবর্ণ এর কারণ হতে পারে।’

সেই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেই সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেছেন। জোনস ও পিয়ারসনের বহিষ্কারের ঘটনায় টেনেসির ভোটাররা ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এদিকে জাস্টিন জোনস জানিয়েছেন, ন্যাশভিলে তার আসনে ফের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। বন্দুক আইন সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সাবেক এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘যাতে শিশুদের হত্যা এবং পাইকারিভাবে বন্ধ করতে পারি, সেজন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহব্বান জানিয়েছিলাম আমরা।’

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিষিদ্ধ সংগঠন কর্মকাণ্ড চালালেই ব্যবস্থা: রেজাউল মল্লিক
শ্রীপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালক নিহত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশের পরই নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী চীনা যুদ্ধবিমান জে-১০সি কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা