সংবাদ প্রকাশের জের: ভোরের পাতার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ২২:১৯

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক ভোরের পাতার নিজস্ব প্রতিবেদক গাজী ফারহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেনসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূতের নিজস্ব প্রতিবেদক হোসেন আলী, জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ ও সাতক্ষীরার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কালের চিত্রের পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস।

মামলার বাদী সাতক্ষীরা তালা উপজেলার হাজরাকাঠী গ্রামের মৃত. জব্বার সরদারের ছেলে মো. জহর আলী সরদার।

সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী আদালত -৩ এর সূত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার জহর আলী সরদারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ সময় সাংবাদিকরা মামলার বাদীকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এমন নানা ধরনের ‘মিথ্যা অসঙ্গিতপূর্ণ’ কারণ দেখিয়ে মামলা করেছেন আদালতে। আদালত মামলাটি আগামী ২৩ মের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দৈনিক ভোরের পাতার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ জানান, সাতক্ষীরা তালায় নাম-পরিচয় গোপন রেখে ইমুতে এক প্রবাসী কোটি কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি আমরা কয়েকজন সংবাদকর্মী সরেজমিনে অনুসন্ধান পূর্বক এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করি। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই প্রবাসীর সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার ম্যানেজার আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। মামলায় ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেনকে ১ নাম্বর আসামি করা হয়েছে আমার জানা মতে সোহাগ হোসেন কখনো ওই ফ্যাক্টারীতে যায়নি কিংবা কোন সংবাদ প্রকাশ করিনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন জানান, সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালী নামে একটি সেমাই কারখানা গড়ে উঠেছে। বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহারের দায়ে ২৮ মার্চ র্যাব-৬ অভিযান পরিচালনা করেন। আমি এতটুকু জানি। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমি কোন সংবাদ প্রকাশও করিনি। ওই ফ্যাক্টরীর কারও সাথে কখনো মোবাইল ফোনে কিংবা সামনাসামনি কথা হয়নি। যে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে আমি কখনো ওই ঘটনাস্থলে যায়নি। হটাৎ জানতে পারলাম আমাকে এক নাম্বার আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন ছাড়া কোথায় যেয়ে কখনো চাঁদা দাবি করেছি কেউ বলতে পারবে না। আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করার জন্য মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক আবু আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা সমজের দর্পণ। সমাজের নানা অসঙ্গিত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে এটাই স্বাভাবিক। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক এই মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জেলার সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হবে। তাছাড়া এই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার পেছনের ঘটনা তুলে ধরা হবে।

বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরার সকল সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলার বাদীসহ স্বাক্ষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :