বাম কাতে ঘুমালে আসলেই কি হার্টের ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৫ মে ২০২৩, ০৯:২৪
অ- অ+

হার্ট হলো আমাদের শরীরের পাম্প। এই পাম্পটি নিরন্তর অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত গোটা দেহে পৌঁছে দেয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই কাজটি বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই অঙ্গের সুস্থ থাকাটা ঠিক কতটা জরুরি!

তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, শেষ কয়েক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমনকি ৩০-এর গোড়াতেও অনেকে হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই এই অঙ্গের দিকে খেয়াল রাখাটা খুবই প্রয়োজনীয়।

মুশকিল হলো, হার্ট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোন তথ্য খাঁটি আর কোনটা ভুয়া, তা বোঝা বড় কঠিন কাজ। তাই বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নেয়া অত্যন্ত জরুরি।

এই যেমন একটা কথা প্রচলিত আছে যে, বাম পাশ ফিরে ঘুমালে নাকি হার্টের ক্ষতি হয়। এই তথ্য কতটা খাঁটি?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এ বিষয়টি নিয়ে খুব একটা গবেষণা হয়নি। তবে কয়েকটি গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে যে হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগীর বাম পাশ ফিরে শুলে সমস্যা হলেও হতে পারে। এক্ষেত্রে বাম পাশে শোয়ার সময় হার্টের পেশির কাজকর্মে সামান্য ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই কিছু সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে।

তবে যাদের হার্টে কোনো সমস্যা নেই, তাদের বাম পাশ ফিরে শুলে কোনো সমস্যাই হয় না। তাই সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তিরা নিশ্চিন্তে বাম কাতে শুতে পারেন। এতে কোনো সমস্যার আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

৭ ঘণ্টা শান্তির ঘুম চাই​

কীভাবে শুয়েছেন তার থেকেও বেশি জরুরি কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখন অনেকেই দিনে ৭ ঘণ্টাও ঘুমান না। সে কারণে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি দেহের বায়োলজিক্যাল ক্লকও বিগড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। বাড়ছে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই চেষ্টা করুন দিনে অন্ততপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর।

হার্টের রোগের পেছনে রয়েছে যেসব কারণ

বাইরের তেল, মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূপমান ও মদ্যপান, অত্যধিক দুশ্চিন্তা, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না থাকা, ওজন বেশি থাকা এবং শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকা ইত্যাদি।

হার্টকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

শাক, সবজি ও ফল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। লবণ তেল খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিন। দুশ্চিন্তা কমান। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। আর অবশ্যই বয়স ৩০-পেরনোর পর বছরে একবার ইকো ও ইসিজির মতো হার্টের টেস্ট করান।

(ঢাকাটাইমস/১৫মে/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিবৃতি: মিডিয়াকে হুমকি প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
কুমিল্লায় নার্সারি থেকে বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহে সুদীপ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা