জলবায়ুর সব বিরূপ প্রভাবের শিকার বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষা করা দুরূহ: ড. হাছান মাহমুদ

দেশের মাথাপিছু জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন বলে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জলবায়ুর কারণে যত বিরূপ প্রভাব আছে, সবগুলোর শিকার বাংলাদেশ। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে। সেখানে পরিবেশ রক্ষা করা দুরূহ কাজ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য বন সংরক্ষণ ও সৃজন দরকার।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পরিবেশ ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন এবং পরিবেশ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন বলেন, ‘সভ্যতার নামে প্লাস্টিক ব্যবহার শুরু হয়। আগে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হতো। এর পরিবর্তে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্লাস্টিক আজ পরিবেশের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন>> জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে গাছ লাগান, দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। অনেক আইন করলাম, বিধি করলাম। তবু বন নিধন চলছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু জিডিপি বাড়ালে হবে না। এই জিডিপি বাড়াতে গিয়ে পরিবেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে সেই হিসাব করতে হবে।’
হাবিবুন নাহার বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা ৬০৮ দশমিক ৯ মেট্রিক টন প্লাস্টিক ব্যবহার করি। আমরা অনেক আইন করেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। শুধু রিডিউস নয়, রিফিউজ করতে হবে। শুধু গোলটেবিল বৈঠক হলেই হবে না। সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেষে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২২, জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার ২০২২ ও বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ পদক দেওয়া হয়।
(ঢাকাটাইমস/৫জুন/পিআর/এফএ)

মন্তব্য করুন