‘ভগ্নিপতির’ দেওয়া আগুনে শ্যালকের পর তার স্ত্রীর মৃত্যু

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ‘ভগ্নিপতির’ দেওয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া শ্যালকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শারমিনও মারা গেছেন ।

বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ১ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল কাদের। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের কন্যা ফাতেমা খাতুন (৪)।

অভিযুক্ত ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন যশোর জেলার নারায়ণপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে।

গত ২৭ মে শনিবার দিবাগত রাতে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের শ্যালক আব্দুল কাদেরে ঘরে পেট্রোল ঢেলে দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন ও শিশুকন্যা ঝলসে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।

পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাদের মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের (২৬) সঙ্গে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেনের (৩২) বিরোধ চলে আসছিল। এ কারণে শ্যালক কাদেরের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সবুজ। এর জেরে শনিবার রাতে সবুজ চন্দনপুর (কাতপুর) গ্রামের হান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই রাতে সোহাগের সহযোগিতায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আব্দুল কাদেরের ঘরের মধ্যে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান।

২৮ মে আব্দুল কাদেরের বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ২ নম্বর আসামি সোহাগ হোসেনকে ওই দিনই আটক করে পুলিশ।

চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ডালিম হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই হৃদয় বিদারক। ভগ্নিপতি সবুজের দেওয়া আগুনে আব্দুল কাদের মারা যান। ভোরে তার স্ত্রী শারমিনও মারা গেছেন।

কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, আগুনে দগ্ধ আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর পর আজ তার স্ত্রীও মারা গেছেন। আমরা মামলার একজন আসামিকে আটক করেছি। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এসএ)