শেরপুরে চলছে হালখাতা উৎসব

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৩, ১৫:১৬

শেরপুরে এখন চলছে হালখাতার উৎসব। একসময় পয়লা বৈশাখে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমান সময়ে সে চিত্র একেবারেই আলাদা। এখন বোরো ধান ঘরে তোলার সময়কে কেন্দ্র করে জেলার ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করে।

চলতি জুন মাস জুড়েই চলবে জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা উৎসব। একসঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা শুরু হওয়ায় মিষ্টির চাহিদাও অনেক বেড়েছে।

শহরের গোপালবাড়ী (বটতলা) এলাকার রড, সিমেন্ট, ঢেউটিন ও নলকূপ বিক্রির প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমেনা ট্রেড সেন্টারের ব্যবস্থাপক খন্দকার লিটন মিয়া বলেন, মূলত গ্রামের কৃষকেরা তাদের গ্রাহক। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার হালখাতায় বাকি আদায়ের পরিমাণ আশানুরূপ হবে।

শহরের খরমপুর, নয়আনী বাজার, গোপালবাড়ী, সজবরখিলাসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক রড-সিমেন্ট, স্যানিটারি, মেশিনারিজ, মনিহারি, স্বর্ণালংকার, কাঁচামালের আড়ত ও টিনের দোকানে হালখাতা উৎসব করতে দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বাহারি রঙের কাগজ ও কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে।

অনেক নারী-পুরুষ হালখাতা করছেন। পুরোনো বছরের বাকি থাকা টাকা-পয়সা পরিশোধ করে দিচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের মিষ্টি বা বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করছেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন আর আগের মতো পয়লা বৈশাখে হালখাতা হয় না। ওই দিন ব্যবসায়ীরা নিয়ম রক্ষার জন্য শুধু নতুন খাতা ‘শুভক্ষণ’ করে রাখেন। এর কারণ শেরপুরের অর্থনীতি কৃষিনির্ভরশীল। পয়লা বৈশাখের সময় ক্ষেতের ধান কাঁচা ছিল। তখন মানুষের হাতে টাকা থাকে না। ফলে ব্যবসায়ীদের দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে পারেন না কৃষকেরা। তাই বাকি আদায়ের জন্য বোরো ধান কাটার পর উপযুক্ত সময়। ফলে এ সময় অনেক ব্যবসায়ী দোকানে হালখাতার আয়োজন করেন।

অনামিকা জুয়েলার্সে হালখাতা করতে আসেন শহরের শিংপাড়া এলাকার গৃহিণী নাজনিন বেগম।

তিনি বলেন, বেশ ভালোই লাগছে। হালখাতা উপলক্ষে গত বছরের বাকি টাকা পরিশোধের পর দোকানের মালিক রণজিৎ দেবনাথ মিষ্টি দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করেছেন।

হালখাতায় বাকি টাকা কেমন আদায় হচ্ছে জানতে চাইলে শহরের খরমপুর এলাকার স্যানিটারি পণ্যের প্রতিষ্ঠান রিক ট্রেডার্সের মালিক আলী হোসেন বলেন, মোটামুটি ভালোই। পুরোনো বাকি টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যেই পয়লা বৈশাখের পরিবর্তে বছরের এই সময়ে হালখাতা করা হয়। জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হালখাতা চলবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :