সিরাজগঞ্জে দুস্থদের চাল বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ
  প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৩, ২২:০২| আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ২৩:১৮
অ- অ+

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ১৩ নম্বর সলপ ইউনিয়ন পরিষদে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা দুস্থদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ না করে নিজেদের তৈরি স্লিপ দিয়ে চাল বিতরণ করছিলেন। দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাথাপিছু দশ কেজি করে চাল দেবার কথা থাকলেও সেখাসে নয়-ছয়ে ব্যস্ত গ্রাম পুলিশ ইউপি সদস্য ও সচিব। দশ কেজি চালের মধ্যেই এক কেজি কম। দুস্থ ও হতদরিদ্রদের এক কেজি করে চাল কম দিয়ে চেয়ারম্যান সচিব ইউপি সদস্যরা কতটুকু লাভবান হবেন এই এই প্রশ্ন অনেকের।

বুধবার (২১জুন) বেলা দেড়টার দিকে সলপ ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে ঘটনার সত্যতা মেলে। ১৩ নং সলপ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল মান্নান ট্যাক অফিসার ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতি চাল পরিমাপে কম দেওয়া হচ্ছে। দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা কিন্তু দেওয়া হচ্ছে নয় কেজি করে। কেন চাল পরিমাপে কম দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্যাক অফিসার উল্লাপাড়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার ইকবল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম না। যদি চাল কম দিয়ে থাকে তাহলে তারা ভুল করেছে অন্যায় করেছে। এটা করা ঠিক হয়নি। যখন চাল পরিমাপে কম দিয়েছে তখন আমি অন্য রুমে ছিলাম।

সলপ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল মান্নানের কাছে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল কম দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। সারাদেশেই তো কম দিচ্ছে। চাল কাম দিতে হবে। বস্তাতে চাল কম থাকে বস্তা নিয়ে আসতে ফেটে যায় যে কারণে চালের ঘাটতি হয়। তাই চাল কম দিচ্ছি। ইউনিয়নে মোট কাডের সংখ্যা কত জানতে চাইলে তিনি চলে জান।

সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকাত ওসমানের সঙ্গে মুঠোফোনে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল কম দেওয়া হচ্ছে না। যদি চাল কম দিয়ে থাকে তাহলে সেটা আমি বুঝবো। আমার অনেক ক্ষমতা। আপনি ক্ষমতার কী দেখেছেন। আপনার যা ইচ্ছে তাই করেন।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ। চাল কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাবাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাচ্ছে অনিচ্ছুক অনেক বয়স্ক মহিল বলেন, সকাল থেকে বসে আছি আমরা চাউল পাচ্ছি না। এক জন তিন চারটা করে স্লিপ পেয়েছে আর আমরা একটাও পায়নি।তাহলে কি আমরা চাউল পাবো না। গত ঈদে ও চাউল পাইনি এবারও পেলাম না। কারা চাউল পাচ্ছে। আমাদের মতো হতো দরিদ্র যদি চাউল না পায় তাহলে কারা পায় সেটাও বলার জাইগা নাই।খালি হাতেই আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর দাবি ‘অপচিকিৎসায়’ শামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যু, বিচার চায় পরিবার
অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেপ্তার
থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি-ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি
আওয়ামী লীগের বিচার ইস্যুতে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে যাবে এনডিএম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা