শরীয়তপুর-২ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে প্রশংসায় ভাসছেন উপমন্ত্রী শামীম

শরীয়তপুর-২ আসন (নড়িয়া-সখিপুর)-সহ পুরো জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। ব্যতিক্রমধর্মী নানাবিধ উন্নয়ন কাজের জন্য এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এই জেলা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ। শরিয়তপুর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবেও আগের চেয়ে শক্তিশালী করে তুলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এনামুল হক শামীমের উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হলো:
নড়িয়া-সখিপুরসহ সমগ্র শরীয়তপুরকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন । নড়িয়া-সখিপুরে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে চরআত্রা, নওপাড়া, কাঁচিকাটা,কুন্ডেরচর ও উত্তর তারাবুনিয়ায় বিদ্যুৎ প্রদান।
নড়িয়া-সখিপুরে বিদ্যুতের জোনাল অফিস স্থাপন এবং সাবস্টেশনসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন সাবস্টেশনের অনুমোদন। প্রত্যেকটি আবেদনকৃত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তকরণ। ১৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা'র ভবন ও দেয়াল নির্মাণ। নড়িয়া সরকারী কলেজ ও হাজী শরীয়ত উল্লাহ কলেজসহ সকল কলেজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিকরণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন। নড়িয়া ও সখিপুরে সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ মেরামত ও বর্ধিতকরণ। নড়িয়া ও সখিপুরে প্রায় ৫,০০০ গভীর নলকূপ প্রদান । নড়িয়ায় নতুন হাসপাতাল অনুমোদন এবং মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল আধুনিকরণ ও তারাবুনিয়ায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ডিভিশন, নড়িয়াতে পানি ভবন ও চরআত্রায় হাজী আঃ জলিল মুন্সি ডাকবাংলো নির্মাণ এবং নড়িয়া ও সখিপুরে আরো ২টি ডাকবাংলো নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। নড়িয়া পৌরসভাকে 'ক' শ্রেণিতে রূপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও পৌরসভাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্ন্তভূক্তকরণ, যার মাধ্যমে এ বছরই ৫০ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র পক্ষ থেকে ১১০ জনকে ৩৫ লক্ষ টাকা ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে ২০০ জনকে ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান । নড়িয়া ও সখিপুরের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও হাফেজদের প্রায় ৫০০০ পবিত্র কোরআন শরীফ উপহার প্রদান । জয় বাংলা এভিনিউ স্থাপনের মাধ্যমে নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকাকে পর্যটন এরিয়াতে রূপান্তর। উত্তর তারাবুনিয়া থেকে সুরেশ্বরের চরমোহন পর্যন্ত সোনার বাংলা এভিনিউ ও জাজিরা পর্যন্ত রুপসী বাংলা এভিনিউয়ের কাজ চলমান।হাতিরঝিলের আদলে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মূলফৎগঞ্জ সেতু।ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা উড়াল সেতু, জয় বাংলা ঘাটলা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়াতে জয় বাংলা সেতু। নির্মাণ এবং প্রায় ২০০টি বাঁশের সাকোকে কাঠের পুলে রূপান্তর। চরভাগা “বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ" কে সরকারিকরণ। চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর এবং রাজনগর ও কাঁচিকাটায় উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণ।করোনাকালীন সময়ে সর্বদা জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান ও শীতার্তদের মাঝে প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র এবং সাহায্য সহযোগিতা প্রদান ।
নড়িয়াতে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের জন্য জমি নির্বাচন প্রক্রিয়াধীন ও সখিপুরে আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়, ১১টি ইউনিয়নে স্থায়ী আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ এবং বাকী ইউনিয়নগুলোতেও প্রক্রিয়াধীন। নড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন এবং সখিপুরে প্রক্রিয়াধীন। সখিপুর উপজেলা গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলমান। প্রায় ৭০০টি মসজিদ-মাদ্রাসা ও ২৫টি মন্দিরে নগদ অর্থ ও অনুদান প্রদান । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সহায়তা প্রদান। নড়িয়া ও সখিপুরে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ও সখিপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, এএসপি সার্কেল অফিস নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। নড়িয়ায় উপজেলা কার্যালয়, ভূমি অফিস নির্মাণ ও মডেল মসজিদ নির্মাণ । আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নড়িয়ায় ৯০০ এবং সখিপুরে ৬০০, সর্বমোট ১৫০০ পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান এবং “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্পের আওতায় ২০০ পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকার দুর্যোগ সহনীয় ঘর প্রদান। ২১জন আলেম-ওলামা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ অর্থায়নে পবিত্র ওমরাহ্ হজ্বে প্রেরণ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলোতে উপহার প্রদান। মাদক, ইভটিজিং ও সকল অপরাধ নির্মূলে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স। আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খলকরণ ও কমিটি গঠন। তিনি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। কেউ যদি তাকে যে কোনো ব্যাপারে ম্যাসেজ দেন তার উত্তর দেন সঙ্গে সঙ্গে। সাধারণ মানুষ সবাই তাকে ফোন করতে পারেন। যে কেউ ফোন করলে তিনি তা ধরেন এবং সাথে সাথে সে ব্যাপারে সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন। নিজ নির্বাচনী এলাকা একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন তিনি। শেখ হাসিনার প্রশ্নে, নৌকার প্রশ্নে তিনি আপস করেন না। আওয়ামী লীগের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণ বয়ে আনছেন উপমন্ত্রী শামীম।
আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান। মেঘনা সেতু (শরীয়তপুর-চাঁদপুর) করার প্রক্রিয়া চলমান। নড়িয়া ও সখিপুরে প্রায় ১৪ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন ও ৪২ লাখ টাকা প্রদান।
পদ্মা সেতু থেকে শরীয়তপুর হয়ে আলুবাজার ফেরীঘাট পর্যন্ত চার লেন রাস্তা অনুমোদন ও কাজ চলমান।
জানা যায়, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ খ্রিঃ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। তাছাড়াও তিনি ১৯৮৯-১৯৯১ খ্রিঃ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) এর ভিপি ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। উপমন্ত্রী শামীম ১৯৯৪-১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক মামলায় তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তিনি গুরুতর আহন হন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ শরীয়তপুর-২ আসন হতে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য,উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আবুল হাসেম মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা প্রয়াত বেগম আশ্রাফুন্নেছা রত্নগর্ভা মা খেতাব প্রাপ্ত। তার মেজো ভাই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি। তার বোন শামীম আরা হক কাকলী একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তার ছোটভাই ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট কার্ডিয়াক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এআর)

মন্তব্য করুন