কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৮

কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙনে গত ১৫ দিনে শতবিঘা আবাদি জমি, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া হুমকিতে রয়েছে আরও দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি।

এদিকে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও ভাঙন কবলিত মানুষ বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভাঙন কবলিতদের নিজস্ব জমিজমা না থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষ তাদের বাড়িঘর সরিয়ে খোলা আকাশে ফেলে রেখেছেন। ঈদের ১০-১২ দিন আগে থেকেই এখানে ভাঙন চলছিল। জিও ব্যাগ দিয়ে সরকারি স্কুলটি রক্ষার চেষ্টা করা হলেও জিও ব্যাগসহ সেটি নদীগর্ভে চলে গেছে। এসময় ভেঙে গেছে আরো ৪৫ থেকে ৫০টি বসতবাড়ি। সবজি ও পাটক্ষেতসহ শত বিঘা আবাদি জমি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে গাছপালা-পুকুর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী তীরের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ শহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, ভাঙনে বজরা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আর রক্ষা করা যায়নি। সেই সঙ্গে ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। আরও দেড় শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। এছাড়াও পেছনে আরো ৬ থেকে ৭শ পরিবারও রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।

গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব আব্দুল খালেক ঢাকা টাইমসকে বলেন, এই নিয়ে ১২বার আমার বসতবাড়ি নদীর কবলে পরল। এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। নদীতেই আমাদের সমস্ত জমিজমা চলে গেছে। আমাদের ঠাঁই নেয়ার মতো কিছুই নেই। এখন আমারা কোথায় যাবো, কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।

ভাঙন কবলিত ষাটোর্ধ্ব নূর আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লোকজন এসে ১৮০ মিটার খোলা জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলবে বলে জানিয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে কোন কিছু রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা ত্রাণ-টাকা-পয়সা কিছুই চাই না। আমরা তিস্তা নদীতে স্থায়ীভাবে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম চাই।

আরও পড়ুন: ঘুমন্ত স্বামীর ওপর গরম পানি ঢাললেন দ্বিতীয় স্ত্রী

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, লোকায়লয় ভাঙন কবলে পরলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পশ্চিম বজরায় আমরা জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছি।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :