তেঁতুলিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ গরু চোরাকারবারির মৃত্যু

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ সুজন (২৩) নামে এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুজন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের হেঙ্গাডোবা গ্রামের আনারুল হকের ছেলে।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে মঙ্গলবার রাতেই তাকে গোপনে দাফন করার চেষ্টা করা হয়। তবে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও বিজিবি সুত্র জানায়, সোমবার রাতে সুজনসহ একদল চোরাকারবারি গরু আনতে নীলফামারি ৫৬ বিজিবির আওতাধীন তেঁতুলিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সুকানী সীমান্ত এলাকায় যায়। এ সময় বিএসএফের সুকানী ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে সুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তার সঙ্গীরা তাকে বাংলাদেশি এলাকায় নিয়ে আসেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলবার রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম বলেন, সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিভাবে আর কার গুলিতে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতে বিজিবি খোঁজ খবর নিচ্ছে।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, বিএসএফের গুলিতে সুজন নামে এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করেছে। সুরতহালে তার উরু ও অন্ডকোষে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন