বড়পুকুরিয়ায় খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৫

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ।

সোমবার সকাল ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরাপাড়া মোড়ে এ মানববন্ধন করেন তারা।

স্থানীয় ভূমি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন।

মানববন্ধনে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মতিয়ার রহমান বলেন, কয়লাখনির অধিগ্রহণকৃত এলাকার বাইরে পাঁচঘরিয়া ও পাতিগ্রামের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় সব সময় ভূগর্ভের নিচে মাইন বিস্ফোরণে বাড়িঘর ফেটে যাচ্ছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পাচঘরিয়া, পাতিগ্রামের বাড়িঘরে কম্পন জনিত ফাটলের বিষয়ে গত ৭ মে থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করানো হয়। কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এলাকার বেকারদের চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। খনি কর্তৃপক্ষ সমঝোতা চুক্তি ভঙ্গ করে বহিরাগতদের চাকরি প্রদান করেছেন।

পূর্বের অধিগ্রহণকৃত মসজিদ ও কবরস্থানগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাইরের গ্রামগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষাকালে রাস্তাগুলো দিয়ে সাধারণ জনগণ স্কুল কলেজ মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীরা ফুলবাড়ী শহরসহ অন্যান্য জায়গায় যেতে পারেনা। তা পুনর্নিমাণ করতে হবে। খনির কারণে পরিবেশ, রাস্তা, সামাজিক প্রতিধ্বনিগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সিএসআর ফান্ড থাকলেও তা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ব্যয় করা হচ্ছে না।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাভবান হলেও এলাকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত এই মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি; যাতে করে আমাদের এই ৬ দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী মন্ডলসহ ভূমি বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ, স্কুল কলেজ মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন।

আরও পড়ুন: জুড়ী সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে ফেলে গেল বিএসএফ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কমিটি করা হয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে কমিটি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রদান করলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :