পুরাতন-অকেজো অস্ত্র দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বললেন আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:২৫ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৪০

পুরাতন ও অকেজো অস্ত্র দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে তা নাকচ করলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

আইজিপি বলেন, ‘আমরা অভিযানে তাদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পেয়েছি সেগুলো দিয়েই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তাদের (বিএনপি) এমন অভিযোগ অমূলক ও ভিত্তিহীন।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজ নিতে যান আইজিপি। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্য ঘিরে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য আছেন আমার দৃষ্টিতে কারও রাজনৈতিক বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়নি৷ আমি আইন ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করি। আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ আসবে সেটি মোকাবেলা করতে হবে; সেটা আমাদের আইনি দায়িত্ব।’

‘পুলিশের ওপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এই দায়িত্ব পালনে আমি বাধ্য। আইন প্রয়োগ করতে আমাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, আইন পড়ানো হয়েছে। আইন প্রয়োগে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হয়। জনগণের জানমাল রক্ষায় যা যা করা দরকার সেটাই করা হবে।’

সম্প্রতি কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর অস্ত্র উদ্ধারকে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, পুলিশ পুরাতন ও অকেজো অস্ত্র দিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা অভিযানে তাদের কাছে যে অস্ত্র পেয়েছি সেগুলো দিয়েই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অমূলক।’

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এক প্রবাসীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে তার মাকে গ্রেপ্তার করা মানবাধিকার লঙ্ঘন কি না জানতে চাইলে চৌধুরী মামুন বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, খুলনার জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমিরের বাড়িতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে জড়ো হয়েছে এমন তথ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ।’

‘পরে আমরা জানতে পেরেছি ওই নারীর ছেলে ফেসবুকে প্রবাসী, তিনি ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আমরা তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। সেখানে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস, বই পেয়েছি, মোবাইল পেয়েছি৷ এর আলোকে মামলা নেওয়া হয়েছে৷ এটা কোনোভাবেই কাউকে উদ্দেশ্য করে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এসএস/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :