সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই শেখ হাসিনার জ্বর ওঠে: রিজভী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এ সরকার এতটাই কাপুরুষ যে আমেরিকা থেকে এক যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে দেশে তার বৃদ্ধা মাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাই ভিসানীতি তো কায়েম হবে আপনাদের উপর। আমরা তো ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলিনি। আমরা চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার। জনগণ যাকে বেছে নেবে তার পক্ষেই আমরা থাকবো, অথচ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের জ্বর উঠে যায় ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি।’
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটিতে ফতুল্লা থানা বিএনপি'র সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুকে দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন৷
রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা নানা ধরনের তাস খেলতে পছন্দ করেন। কখনো জঙ্গি নাটক করেন, কখনোবা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলেন। এভাবে তিনি দেশে বিদেশে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান। আসলে তিনি নিজেই বিভ্রান্ত। তিনি যা বলেন সেটা সত্য না বরং সরকারের দানবীয় নির্মমতার শিকার হতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।
রিজভী বলেন, ২৯ তারিখে আমাদের কর্মসূচি ছিল এক দফার। শেখ হাসিনার পদত্যাগ আর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এ জ্বর সহজেই যায় না। এজন্যই নির্বাচনের কথা বললেই তারা পুলিশকে নির্দেশ দেন বিএনপিকে মারধর করতে। প্রতিদিন আমাদের আদালতের বারান্দায় দাঁড়াতে হয়। বিচারকেরাও কাজ করছে শেখ হাসিনার পক্ষে। এর মধ্যেও তো বিএনপি ও সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এত ত্যাগের পরেও গণতন্ত্রের জন্য স্রোতধারাকে রুখতে পারেনি। এ কারণেই টিটুর মত অনেকে চোখ হারিয়েছে, জীবন দিয়েছে। কিছুদিন আগে এ নারায়ণগঞ্জে শাওনকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি তো কাউকে হত্যা, লুটতরাজ করেনি। তাই ওবায়দুল কাদেরকে বলবো আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। ।
টিটু সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে আহত হন। ইতোমধ্যে তার একটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। উন্নত চিকিৎসা করতে ২৮ আগস্ট তিনি ভারতে যাবেন। এ কারণে কেন্দ্রীয় নেতারা আসেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহায়তা তুলে দিতে। ওই সময়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/কেএম)

মন্তব্য করুন