পিরোজপুরে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ দিয়ে ব্রিজের স্লাব তৈরি

সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর
  প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২০
অ- অ+

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (কাঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ির সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে ওই স্লাব ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে। প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে পাঁচটি করে সুপারি গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপাবির ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬ টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা আব্দূল লতিফসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার তার নিজের এলাকায় বসে স্লাব তৈরি করে নিয়ে এসে ব্রিজে একদিনের মধ্যে স্থাপন করে চলে গেছেন। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাভগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন আগে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। ফিরে তাৎক্ষনিক সভা করেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেননি। তাকে আগামী ৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মহোদয়কে, এলজিইডির চীফ ইঞ্জিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এতবড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি এবং অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকা টাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা