যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী

সাংসদীয় আসন ৮৭ যশোর-৩। জেলার সদর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটি। এই আসনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজনের নাম শোনা গেছে। তিনি বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা গেলেও ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলার যশোর-৩ আসনের ওপর জেলার বাকি ৫টি আসনের কার্যক্রম ও গুরুত্ব নির্ভর করে বলে ভোটাররা মনে করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে এই আসনটিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নাবিল আহমেদ পরপর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তারপরও এখানে কাজী নাবিল আহমেদ পুনরায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া এই আসনটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় আসন যশোর-৬ কেশবপুর আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমান নাথ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশায় দোড়ঝাপ শুরু করেছেন।
এরমধ্যে কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু প্রার্থী হওয়ার আশায় যশোর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পাড়া ও বাজারে গণসংযোগ শুরু করেছেন।
তারা নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আশায় এসব নেতারা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে। তবে বিএনপির পক্ষে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ছাড়া আর কারো নাম শোনা যায়নি।
তবে বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তত্বাবধায়কের অধীনে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্বাচনী গণসংযোগ কোথাও চোখে পড়ার মতো দেখা যাচ্ছে না।
অপরদিকে, জেলা জাসদের নেতা রবিউল আলম যশোর-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় জাসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিউল আলম অবস্থান নিয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন ৮৭ যশোর-৩ আসনটিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩১,২৫৭ জন বেড়েছে। এই আসনে বর্তমানে মোট ভোটার ৬১১৯০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৭৯ জন ও মহিলা ৩ লাখ ১হাজার ৪২০ জন।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ এই আসনটিতে ভোটার ছিল ৫লাখ ৮০ হাজার ৬৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৯৪৬৭১ জন ও মহিলা ভোটার ২৮৫৯৭১ জন বলে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
যশোর-৩ আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা গুঞ্জন অব্যাহত রয়েছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকেরা এই আসনে যাকে যোগ্য বলে মনে করবেন তাকে দিলে সকলের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে তার পক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে এটা সকলের মধ্যে জাগ্রত রয়েছে। তবে প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তারা যশোর থেকে ছুটছেন সুদুর রাজধানীতে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন তারা। দলীয় টিকিট পাওয়ার জন্য এখন থেকে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে একরকম প্রতিযোগিতা। অনেকে এই আসনে ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করেন তৃণমূল থেকে। তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক, দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আশা করেন দলের জন্য তিনি সব সময় মাঠে রয়েছেন। অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও অনেক দাবি রয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কে পাচ্ছেন যশোর-৩ আসনের দলীয় টিকিট এখন তা দেখার অপেক্ষায় এই আসনের ভোটাররা।
(ঢাকাটাইমস/১৬ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন