ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে অ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫১

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় এক ভুক্তভোগী।

শনিবার দুপুরে রামগড়স্থ গৌধুলী রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জহর লাল বলেন, তার নামে উপজেলার ২৩৫নং নাকাপা মৌজায় ৩৭২/ক নং হোল্ডিংভূক্ত ০.২০ (বিশ শতক) একর ৩য় শ্রেণির ভূমি রেকর্ডভুক্ত আছে। জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দীর্ঘ অনেক বছর। জমির খাজনা, জমাবন্দি, হেডম্যান রিপোর্ট, ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার কানুনগো রিপোর্ট সবকিছু তারই অনুকূলে আছে। সে জমি তিনি অসুস্থতাজনীত কারণে তার স্ত্রীকে দান করতে চেয়ে ২০২১ সালে ভূমি কার্যালয়ে আবেদন করেন। যার মামলা নম্বর রামগড় ভূমি নামজারি মামলা ৩৮৩/রাম। পরবর্তীতে তার সৎবোন নামজারী মামলার বিরুদ্ধে ভূমি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানিও হয়। মামলার প্রতিবেদনের জন্য অ্যাসিল্যান্ডের কার্যালয়ে তাকে একাধিকবার ডাকা হয় এবং জনৈক প্রমথ বিহারির মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ৭ লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এডিএম কোর্টে তার সৎবোনকে দিয়ে মামলা করা হয়।

তিনি আরও জানান, মামলার পর অ্যাসিল্যান্ডের কার্যালয়ে প্রতিবেদনের জন্য গেলে এসিল্যান্ড নিজেই ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ভূমিটি খাস করে দিবেন বলে হুমকি দেন। তিনি আরো জানান, নামজারি মামলার ৩৮৩/রাম শুনানির

প্রতিবেদনে মোটা অংকের ঘুষ চাওয়া ও প্রতিবেদন না দিয়ে নানা হয়রানি করার প্রতিবাদে তার এই সংবাদ সম্মেলন।

ঘুষ এবং হয়রানির অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে কিনা সাংবাদিকদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসিল্যান্ড সাহেব তাকে বলেছেন তার বদলির আগে শুনানিটা করে দিয়ে যাবেন কিন্তু কয়েকদিন আগে তিনি জানতে পারেন এসিল্যান্ড সাহেব বদলি হয়ে করেকদিনের মধ্যে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি কাউকে বিষয়টি জানাতে পারেননি। তবে সহসা তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। বিষয়টি সম্পূর্ণ মানবিক। জহর লাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহরলাল সংবাদ সম্মেলন করে থাকতে পারে। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি আমি শুনেছি তবে আমি বা জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট কোন অভিযোগ দেননি ভুক্তভোগী। তিনি আরও বলেন, জহর লালের কাগজপত্র সঠিক নেই ,ওয়ারিশগনদের বাদ দিয়েছেন। এসিল্যান্ড ব্যক্তিগত পরীক্ষার দিতে ছুটিতে ঢাকা অবস্থান করছেন। উধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :