দাফনের ২৮ বছর পরও কবরে মিলল অক্ষত মরদেহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫০
অক্ষত মরদেহ ও কাফনের কাপড়

দাফনের ২৮ বছর পরও কবরে এক ব্যক্তির অক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ এবং কাফনের কাপড়ও ছিল অক্ষত। সোমবার দুপুরে পুনরায় ওই ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামে।

উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহেব আলী খান ৭২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

মো. সাহেব আলী খানের ছেলে মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে ইটালিতে বসবাস করে আসছি। আমাদের গ্রাম থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে আমার বাবার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে। আমি কয়েক বার স্বপ্নেও দেখেছি বাবা বলেছে আমার কবরের ওপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে, তুমি আমার কবরটা এখান থেকে অন্য যায়গায় হস্তান্তর কর। তখন আমি আমার চাচা এবং গ্রামের লোকজনকে বলেছি আমি দেশে আসলে আমার বাবার কবরটা এখান থেকে হস্তান্তর করবো। রবিবার আমি ইটালি থেকে দেশে এসে হুজুরদের সাথে কথা বলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কবরের কাছে যাই। কবর খুঁড়তেই সাদা কাপড় দেখতে পাই আমরা। একপর্যায়ে অক্ষত মরদেহ দেখে ওই জায়গা থেকে উত্তোলন করে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করি। ২৮ বছর পরও বাবার মরদেহ অক্ষত দেখে সবাই হতভম্ব হয়।

এদিকে ২৮ বছরে মরদেহ কবরে অক্ষত থাকার খবর শুনে ওই বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। শুধু এলাকাবাসী নয়, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে মরদেহ দেখতে আসে।

মো. মোবারক হোসেন খান আরও বলেন, আমার বাবা সাধারণ মুসল্লি ছিলেন। অনেক পরহেজগার ছিলেন তিনি। মরদেহ কবর থেকে তোলার পর দেখি কাফনের কাপড়ও পচেনি। ধরে দেখি কাপড়ের ভেতরে শুকনো দেহ রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের জোড়া শক্ত। হাত-পায়ের জোড়া বিচ্ছিন্ন হয়নি।

এ বিষয়ে ডেঙ্গুরভিটি গ্রামের আব্দুল গনি খান, মো. ফজলুল হক বকাউল ও ফয়সাল আহাম্মেদ বলেন, মো. সাহেব আলী খানের মরদেহ অলৌকিকভাবে ২৮ বছর পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ছেংগারচর বাজার আন-নুর ইসলামীয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মাইনুদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ নানাভাবে তাঁর কুদরতের নিদর্শন দেখান। হয়তো এটি আল্লাহর একটি নিদর্শন। এমনও হতে পারে মো. সাহেব আলী খান আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দা ছিলেন। তাই অলৌকিকভাবে মরদেহ অক্ষত রয়েছে। এ ধরনের মরদেহের গোসল ও জানাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী স্থানান্তর করে দাফন করে দিলেই হয়।

(ঢাকা টাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু

ভারতে পালানোর সময় মাদারীপুর জেলা আ.লীগ সভাপতি আটক

বেনাপোল বন্দরে দুইদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নদীতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

২০১৪ সালে আখাউড়ায় ভোটকেন্দ্রে হত্যার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা 

শরীয়তপুরে সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

৪৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলাচল শুরু

সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: রিয়াদে আটকাদেশ শেষ হলেও কারাগারে বন্দি রেমিটেন্স যোদ্ধা মেহেদী

সাতক্ষীরায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যায় ৬ জন গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :