স্মার্ট শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে শিক্ষাকে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হবার পাশাপাশি বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রূপান্তরের কাজ চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত ৪দিন ব্যাপী “স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল ২০২৩” এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে শিক্ষাকে রূপান্তর করার চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যে তিনবছর ধরে এর কাঠামো তৈরি করেছি। এখন ২০১৭ থেকে ২০২৭ এই দশ বছর ধরে এই নতুন কারিকুলামটি নিয়ে কাজ চলছে এবং চলবে। তাই এখন পাশ কিংবা ফেল নয় বরং কে কতটা পারদর্শী সেটা দেখা হবে। ফলে কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িতরা চিন্তায় পড়ে যাবে। কারণ এখন ক্লাসরুমের চার দেয়ালেই পড়াশোনা সীমাবদ্ধ থাকবে না। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে, ঘরে এবং বাইরে সব জায়গায় শিখতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চাকরীপ্রার্থী এবং চাকরীদাতাদের প্রত্যাশার মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখি। কারণ আগে প্রত্যাশা পূরণের জন্য বেশি কিছু শেখানো হতো না। কিন্তু এই প্রজন্মের জন্য আমরা কারিকুলামও এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে যে কোনো পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এখন শিক্ষার্থীরা নিজেরা পড়ে শিখছে এবং দলগতভাবেও শিখছে। তারা সমস্যা সমাধান করা শিখছে। প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও তৈরি করে উপস্থাপনার মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরছে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরাই হবে চ্যাম্পিয়ান অব দ্য চেঞ্জ। সারা বিশ্বকে যে পথে নিয়ে যাওয়া দরকার সে পথে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে নিজের দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান নিয়ে সুনাগরিক হবে পাশাপাশি বিশ্ব নাগরিকও হবে।
তিনি বলেন, বিপুল কিছু নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাবছে। আমরা সাসটেইনেবিলিটির কথা বলি কিন্তু একজন শিক্ষার্থী যতক্ষণ তার পরিবেশ সচেতন এবং সক্রিয় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছাতে পারবো না। সেজন্য নতুন প্রজন্মকে আমরা সেই জায়গাটিতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে যেকোন নতুন বিষয় নিয়ে চলতে গেলে দ্বিধা থাকে। তাই নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে সকলের সহযোগীতা চাই।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা আর্ট সামিটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাদিয়া সামদানি,
আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/টিএ/কেএম)