স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গৃহবধূর মাদরাসায় অবস্থান

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:৪৮

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর কর্মস্থল মাদরাসায় অবস্থান নিয়েছে এক গৃহবধূ।

রবিবার দুপুরে উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদরাসায় অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ।

অপরদিকে ওই গৃহবধূ এখন বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাদরাসার অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় থেকে ওই প্রভাষক অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর প্রথমে পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সুবাদে প্রায় সাত বছর আগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে কাবিন নামা তৈরি করে বিভিন্নস্থানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত তার কোন খোঁজখবর রাখেন না এবং তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। ওই গৃহবধূ স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে ওই প্রভাষকের বেতন বন্ধ করে দেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ওই প্রভাষককে পুনরায় ওই প্রতারনার শিকার শিক্ষার্থীকে কাবিন করে নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এতে প্রভাষক কোন কর্ণপাত না করায় ওই গৃহবধূ এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, সরলতার সুযোগ নিয়ে মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই। মোস্তাফিজ এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি এর আগেও কয়েকটি বিয়ে করেছি। ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজুলর রহমান বলেন, আমরা ওই শিক্ষককের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে এই বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের জন্য সভাপতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ এনামুল জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েক বার বসেছিলাম।

এ ব্যাপারে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম জানান, এতবড় অপরাধ করে ওই শিক্ষক কি করে পার পাওয়ার চিন্তা করে। এটা আসলে একটা দুঃখজনক ঘটনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা জানান, বিষয়টি নিয়ে ওই মাদরাসার সভাপতির সঙ্গে আমি কথা বলবো।

(ঢাকাটাইমস/০১ অক্টোবর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :