‘শেখ হাসিনার পতন চেয়ে বিএনপি নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:৫৪

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে এসে বিএনপির নেতারা নিজেরাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে পালিয়ে বেড়ানোয় এখন তাদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

তারা বলেন, অপরাধীর বিচার হবেই, তাদের ছাড় নয়। কোন দেশ কী বললো, তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবে না। বিএনপির নেতারা আগুন সন্ত্রাস করে এখন এমন গর্তে ও পাহাড়ে গিয়ে লুকিয়ে আছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ভয়ে আছে। এমন কি বিএনপি নেতারা ভয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক দিবসও পালন করেননি।

মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধুর এভিনিউ’য়ে সামনে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওযামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস পালন করে। বিএনপি কী করে। জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বাঁচতে দেয়নি। কত সৈনিক, কত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। তিনি সকালে নাস্তা করতেন এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফাঁসির আদেশ দিতেন। আজ এই শক্তি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতির ওপর চেপে বসতে চায়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই এদেশে হত্যা-ক্যু রাজনীতি শুরু করেছিল। সেই ধারা খালেদা জিয়া ধরে রেখেছে। তারা এখনো হত্যার রাজনীতি করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার পতন করে দেবে বিএনপি। আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না। এখন বিএনপির এত লাফালাফি কেথায় গেল। সেদিন দেখলাম বিএনপির নেতারা দৌড়ে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা পাহাড়ে ও গর্তে গিয়ে লুকিয়ে আছে। ৭ নভেম্বর কার দিবস? যারা জাতীয় দিবস বন্ধ করে দেয় তারা কাপুরুষ। যারা ভয়ে জাতীয় দিবস পালন বন্ধ করে দেয় তাদের কি রাজনীতি করা মানায়? ২৮ অক্টোবর চলে গেল, কত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কই গেল বিএনপির। জাতীয় দিবসে কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়ে কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কোন দেশ বা কোন ইউনিয়ন কী বিবৃতি দিল তাতে কিছু যায় আসে না। অপরাধীর বিচার হবেই। কেউ অপরাধ করবে বিচার হবে না, এটা কোন গণতন্ত্র।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে রক্তের লীলাভূমি তৈরি করেছিল জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। বিএনপি লুটপাট করে এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিল রক্ত পিপাসু। তার সেইধারায় খালেদা জিয়াও এদেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল। এসব করেই তিনি খান্ত হয়নি। শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে বিএনপি। তাদের হাতে এদেশ কখনো নিরাপদ নয়। তাদেরকে প্রতিহত করতে হব।

ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ছোট বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছছে। এটা দেখে তাদের সহ্য হয় না। বাংলাদেশের শান্তি উন্নয়ন সহ্য হয় না বলেই আন্তর্জাতিক মহলে নানান কথা বলেছে তারা। নির্বাচনে আগে বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করছে। তারা ভাবছে আগুন সন্ত্রাস করে তারা আবারও ২০১৩-১৪ সালের মতো অবস্থা সৃষ্টি করবে কিন্তু দেশের মানুষ তা হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার আহবান জানান তিনি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এই দেশেকে কীভাবে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করেছিল জিয়াউর রহমান। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে দেশের মানুষ। সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি-জামায়াতে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিএনপি টেকব্যাক বাংলাদেশ চায়। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য আগুন সন্ত্রাসীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসকে বিএনপি বিজয় দিবস হিসেবে পালন করতো। এই দিবসে তারা আনন্দ উল্লাস করতো। কিন্তু ২৮ তারিখের পর বিএনপির সকল নেতাকর্মী গর্তে ঢুকে গেছে। তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির নেতারা সরাসরি আসতে ভয় পায়। তাই তারা ভিডিও বার্তায় আসে। বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি আগুন সন্ত্রাস করে, তাকে ধরে তার হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে তাদের শিক্ষা হবে।

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার পরে এদেশ গঠনে কাজ শুরু করেছিলেন তখন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাকে হত্যা করে। শেখ হাসিনা যখন দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি করে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখনি বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেঠে উঠছে। বিএনপিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাজপথেই মোকাবিলা করবে। কোনো সন্ত্রাসী দলকে আওয়ামী লীগ আর ছাড় দেবে না।

ঢাকাটাইমস/৭ নভেম্বর/জেএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দেশের জনগণ আজ ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে: রিজভী

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-আ.লীগে অস্বস্তি, মাঠপর্যায়ে কেন উপেক্ষিত দলীয় সিদ্ধান্ত

প্রয়াত নেতা পিন্টুর কবর জিয়ারতে বিএনপি নেতারা

ট্রেনভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে কমলাপুরে সিপিবির বিক্ষোভ

জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক

দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে মীরজাফর হিসেবে চিনবে: রিজভী

শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যম বারবার আত্মসমর্পন করেছে: বাংলাদেশ ন্যাপ

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার

কে এই মামুনুল হক? যেভাবে পান ব্যাপক পরিচিতি

হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :