গাজায় ‘বাফার জোন’ তৈরির পরিকল্পনা ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি নিরাপদ অঞ্চল বা বাফার জোন তৈরির পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল, যার মাধ্যমে গাজার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চায় দেশটি। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। খবর আনাদুলুর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কেএনএ জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ব্লিঙ্কেনকে বলেছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘গাজার গভীরে একটি বাফার জোন স্থাপন করবে’। এর ফলে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গাজার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে বলে জানান তিনি।

কেএনএ-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্থান কমানোর যে কোনো ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলো।

এদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক এবং সৌদি আরবকে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

বাফার জোনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ওফির ফালক রয়টার্সকে বলেন ‘এটি অনেক বিশদ একটি পরিকল্পনা। ইসরায়েলি সরকারের অবস্থানের রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, হামাসকে ধ্বংস, গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ সবই এ পরিকল্পনার অংশ।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ওফির ফালক বলেন, একটি বাফার জোন অসামরিকীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ জোন তৈরি করতে চাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ইসরায়েল গাজার উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে হামাস বা অন্য কোনো সংগঠনের হামলার পরিসর কমিয়ে ফেলা। এই ধরনের একটি বাফার জোন গাজার জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। কারণ গাজা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ একটি এলাকা। যেখানে প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শেষে শুক্রবার গাজা উপত্যকায় আবারও স্থল অভিযান ও বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে এক দিনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৫৮৯ জনেরও বেশি মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু ও নারী রয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/এমআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :