ফরিদপুর-২: লাবু চৌধুরীর সম্পদ তেমন না বাড়লেও বেড়েছে স্ত্রীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। তিনি প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে। লাবু চৌধুরীর বার্ষিক আয় কত? স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণই বা কী পরিমাণ, তা জানা গেল তার দাখিলকৃত হলফনামা থেকে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লাবু চৌধুরীর সম্পদ তেমন না বাড়লেও বেড়েছে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামায় লাবু চৌধুরী উল্লেখ্য করেছেন, কৃষি খাতে কোনো আয় নেই তার। শেয়ার, সঞ্চয়/ব্যাংক আমানত ১ লাখ ৩২ হাজার ১০১টাকা। সংসদ সদস্য বেতন ভাতা ১২ লাখ ৬২ হাজার ২ টাকা, প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড থেকে পারিতোষিক আয় ২০ লাখ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে লাবু চৌধুরী জানিয়েছেন, তার হাতে নগদ টাকা ২৯ লাখ ১২ হাজার ১৯৯টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ৫ হাজার ৭৪৮ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৫ টাকা।
বন্ড, ঋনপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার (পরিমাণ অর্জনকালীন সময়ের মূল্যসহ) ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৯১ হাজার, ১৫৪ টাকা। স্ত্রীর নামে ৫১ হাজার ২০০ টাকা।
লাবু চৌধুরীর নিজ ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২২টাকা। নিজের স্বর্ণ নেই, তবে স্ত্রীর ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণ রয়েছে। ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
এই সংসদ সদস্যের কোনো কৃষি জমি নেই বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি। নিজের নামে নেই কোনো ফ্লাট। তবে স্ত্রীর নামে ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্লাট রয়েছে। দায়-দেনার বিবরণীতে তিনি ব্যক্তিগত ও ব্যবসা খাতে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ১ টাকা দেখিয়েছেন।
লাবু চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, তার দেওয়া চারটি প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাবু চৌধুরীর মা সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নতুন সংসদ সদস্য হন লাবু চৌধুরী। এবারও দল তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে।
এর আগে উপনির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয়েছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১৯ টাকা। স্ত্রীর নামে দেখিয়েছিলেন ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৪ টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ১৮০ টাকা। স্ত্রীর নামে ছিল ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩০৭ টাকা। স্ত্রীর নামে সেভিংস ও সঞ্চয়পত্রে ৫১ হাজার ২০০ টাকা ও ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ছিল।
স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজ নামে কিছু না দেখালেও স্ত্রীর নামে ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকার ফ্লাট দেখানো হয়েছিল। দায়-দেনার বিবরণীতে ব্যক্তিগত ও ব্যবসা খাতে ৬ কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬২ টাকা দেখিয়েছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন