দশ বছরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১২ গুণ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:১৫

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের বার্ষিক আয় ৩ গুণ হলেও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৮ টাকা আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬১ টাকা।

বর্তমানে তিনি বার্ষিক আয় ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫১২ টাকা। গত ১০ বছরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় ৩ গুণ হলেও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ।

তবে তার স্থাবর সম্পদ না বাড়লেও স্ত্রীর নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়ে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তার বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকা, ব্যাংক আমানত ১৬ হাজার ৪৮১ টাকা, এমপি হিসেবে বছরে ভাতা পেয়েছেন ১৪ লাখ ৬ হাজার ১৭৫ টাকা, রেমিটেন্স ৩ লাখ ২ হাজার ৮২২ টাকা।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়ে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় হয়েছে ৮০ হাজার ১০৪ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, ব্যাংক আমানত ৫৪ হাজার ৪৪০ টাকা, মৎস্য খাত থেকে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও এমপি হিসেবে বছরে ভাতা পেয়েছেন ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৪ টাকা।

গত ২৮ নভেম্বর জেলা নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বর্তমানে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন, ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ১৭০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ২৮০ টাকা, ব্যাংক আমানত ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪০ টাকা, মৎস্য খাত থেকে ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বছরে পেয়েছেন ২১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৮ টাকা।

গত ১০ বছরে বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বার্ষিক আয় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আয় বেড়েছে ৩ গুণ। এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। একটি জিপ গাড়ি ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা। ওই সময় ৬৫ হাজার টাকার মূল্যে সোনা, ৮৭ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র।

একই সময়ে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা, একটি প্রাইভেটকার ছিল ১৫ লাখ ৩৫ হাজার। তবে ওই সময়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সোনা (৩০ ভরি) এবং ২০ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র ছিল।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৮ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ছিল ৫ লাখ টাকার। একটি জিপ গাড়ি ৭০ লাখ টাকা। তবে সোনা বাড়েনি। ৭১ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ৬১ হাজার ৪৭০ টাকার আসবাবপত্র।

একই সময়ে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ ৯৬০ টাকা, একটি একটি প্রাইভেটকার ছিল ১৫ লাখ ৩৫ হাজার এবং ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সোনা (৩০ ভরি)।

গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, গত দশ বছরের ব্যবধানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। এর মধ্যে, নগদ অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা, ব্যবসা বহির্ভূত ১ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৩ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, ও শেয়ার খাতে ৫ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ টাকা দামের গাড়ি রয়েছে। তবে আগের মতো একই পরিমাণ রয়েছে সোনা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকা।

একই সময়ে স্ত্রী আফরোজা হকেরও বেড়েছে অস্থাবর সম্পত্তি। এর মধ্যে ব্যবসা খাতে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা, ব্যবসা বহির্ভূত ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৭৫ লাখ ২৫ হাজার ১১৭ টাকা। গাড়ি ও সোনা আগের মতোই রয়েছে। এ খাতে রয়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন, পৈত্রিক সূত্রের মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি। অকৃষি জমি শূন্য দশমিক ১৩ একর।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর সম্পত্তি একই দেখিয়েছেন। তবে বর্তমানে পৈত্রিক সূত্রের কৃষি কমেছে। বেড়েছে অকৃষি জমি। পৈত্রিক সূত্রের মধ্যে ২ দশমিক ৩২ একর কৃষিজমি। অকৃষি জমি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।

(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

নির্বাচন কর্মকর্তা প্রত্যাহার ও প্রিসাইডিং অফিসার রদবদলের দাবিতে প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

কর্ণফুলি নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান, কারেন্ট ও রিং জাল জব্দ

মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি প্রকল্পের কাজ, বাড়ছে অপরাধ কর্মকাণ্ড

হালুয়াঘাটে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক

ভালুকায় কারখানা শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পাউবোর ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলির আবেদন

ঈশ্বরদীতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

সিলেটে হিট স্ট্রোকে পথচারীর মৃত্যু

নোয়াখালীতে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার, আটক ২

বগুড়ায় ৫ লাখ ডিম মজুদ করে রাখায় কোল্ড স্টো‌রেজকে জরিমানা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :