একজন সফল খামারি আলমগীর হোসেন

একজন সফল খামারি নড়াইল সদরের মুলিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন। তিনি মৎস্যচাষি হিসেবে যেমন সুনাম অর্জন করেছেন, তেমনই গরু ও হাঁস পালন করেন। এছাড়া ঘেরপাড়ে কলা এবং আমবাগান করেছেন। তার মৎস্যঘেরে বিভিন্ন ধরনের দেশি ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি ১৪০টি হাঁস পালন করছেন। এছাড়া ঘেরপাড়ে নিয়মিত কলা এবং মওসুমের সময় আম পাচ্ছেন। শাক-সবজিও চাষাবাদ করছেন। পাশাপাশি গরুর খামারে নয়টি গাভী রয়েছে।
আলমগীর হোসেনের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাউলি গ্রামে। ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে প্রায় ২০ বছর আগে তিনি নড়াইল সদরে চলে আসেন।
আলমগীর হোসেন জানান, তার এই সফলতার পথ সহজ ছিল না। নানাবিধ বাধা অতিক্রম করে সফলতার মুখ দেখেছেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। সেই চেষ্টাই করেছেন তিনি। চলার পথে অনেক সময় হোঁচট খেয়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। তার এ চলার পথে সারথী হয়েছে-বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
আলমগীর বলেন, আমি যখন নিজে কাজ করার সামর্থ অর্জন করি; তখন থেকেই ব্যবসার প্রতি ঝোঁক ছিল। তাই পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ বিভিন্ন ধরণের শস্য কিনে বিক্রি করতাম। একবার রসুনের ব্যবসা করতে গিয়ে বেশ লোকসান হয়। এরপর ব্যবসা করার মতো পুঁজি ছিল না। তখন ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে শস্য কিনে পুঁজি বাড়াতে থাকি। এরপর মাছ চাষ এবং গরুর খামার শুরু করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী নড়াইল সদরের মুলিয়া গ্রামে প্রথমে ছোট পুকুরে মাছ চাষ করে ভালো লাভবান হই। পরবর্তীতে ব্র্যাক থেকে আরো ঋণ নিয়ে বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরু করি। গত পাঁচ বছর ধরে আমি চাষাবাদ করছি।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশীরা জানান, আলমগীর হোসেন মৎস্যচাষ, গরুর খামার, হাঁস পালনসহ শাক-সবজি চাষাবাদ করে ভালো আছেন। তিনি এলাকার অনুকরণীয় খামারি। তার সফলতা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত।
(ঢাকাটাইমস/১জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন