রংপুর মেডিকেলে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সংকট, ৬ জনের মৃত্যু

রংপুর ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮
অ- অ+

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে বিভিন্ন আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সংকট দেখা দিয়েছে। জনবল সংকট, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুল পাশাপাশি শয্যা সংকটও রয়েছে। মানুষের অসচেতনতার কারণে প্রতিদিন আগুনে পোড়া দগ্ধ রোগীদের সংখ্যা বাড়লেও অসহায় ও গরিব রোগীরা অর্থের অভাবে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা ঠিকমতো করাতে পারছে না।

হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা জানান, মানুষ যতদিন সচেতন হবে না ততদিন আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা কমবে না। বিশেষ করে শীতের সময় এই রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ২ কোটি মানুষের চিকিৎসায় শুধু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছে বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। প্রতিবছর শীত মৌসুমে এই বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে থাকেন বলে তারা জানান।

হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ শয্যার বিপরীতে এই বিভাগে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রোগী হয়েছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই অসচেনতা বশত বিভিন্নভাবে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আগুনে পোড়া, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, ছাইয়ের স্তূপে পোড়া, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নছিমন করিমন দুর্ঘটনায় গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

এসব দুর্ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নভেম্বর মাসে ২ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সরওয়ার হোসেনের স্ত্রী লাকী বেগম (৩০), নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪৫), রংপুর নগরীর তাজহাট এলাকার সোহেল মিয়ার শিশু কন্যা সাদিকা (৩), রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার এরশাদুলের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৩৬), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার মৃত রাজু মিয়ার ছেলে সামছুল হক (৭০) ও একই জেলার খেদমতপুর এলাকার মৃত আছির উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৮০)।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। এদের অনেকে ৪৫ থেকে ৬০ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন।

হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ইনচার্জ, ডা. মো. শাহীন শাহ জানান, দগ্ধ হয়ে যেসকল রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানে রয়েছেন তাদের অধিকাংশ অসচেনতার কারণে দদ্ধ হয়েছেন। কিন্ত জনবল সংকট ও চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার কারণে এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪ শয্যার এই বিভাগে তিনগুণ রোগীর খাদ্য সরবরাহে নানা সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইফনুস আলী জানান, চিকিৎসা সামগ্রীর কিছুটা সংকট রয়েছে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে তা থাকবে না। এছাড়া ওই বিভাগে আর কোন সংকট আমি দেখছি না বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ২০০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেল মুন্সীগঞ্জে, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আইইউবিএটি-তে চীনা ভাষা কোর্সের উদ্বোধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা