‘১৭ মিনিটের ভিডিও কনফারেন্সের পর ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯| আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪
অ- অ+

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত বলে দাবি করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা বলছে, ট্রেনে আগুন লাগানোর আগে ১৭ মিনিটের একটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। যে মোবাইলটি ব্যবহার করে এই কনফারেন্স করা হয় সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয়জনকে।

ডিবি বলছে, শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সটি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৭ মিনিটের ওই কনফারেন্সে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। এর পরে শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

শনিবার সকালে ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যুবদল নেতা কাজী মনসুর এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিবি।

জবানবন্দির একটি ভিডিও গোয়েন্দারা গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছেন। সরবরাহ করা তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে মনসুরকে আগুনের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিতে দেখা যায়।

ভিডিওতে তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তারা একটি ভার্চুয়ালি মিটিং করেন। মিটিংয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ আরও অনেকে ছিলেন। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে মিটিং চলে। ভার্চুয়ালি এই মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম সিদ্ধান্ত হলো- ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো। যাতে করে ভোটাররা ভয়ে সেখানে ভোট কেন্দ্রে না যান। আর দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার। এ সময় মিটিংয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন জিজ্ঞাসা করেন ট্রেনে কে আগুন দিতে পারবে। তখন ভিডিও কনফারেন্স একজন রাজি হন ট্রেনে আগুন দিতে।

মনসুর পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে আরও বলেন, ভিডিও কনফারেন্স রবিউল ইসলাম বলেন কিশোরগঞ্জ থেকে আগত কোনো ট্রেন ঢাকায় ঢোকার পর কিংবা নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। তখন রবিউল ইসলাম মিটিংয়ে একজনকে দায়িত্ব দেন ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য।

আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ মনসুর আলম, কামরাঙ্গীচর থানার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল ও সালাউদ্দিন, কবির হোসেন, দেলোয়ার, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান এবং লালবাগ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন স্বপন।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাপে ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন আটজন।

(ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/এসএস/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা