বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত মিয়ানমার জান্তা

চীনের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং দেশটির তিনটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। এরফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর শান রাজ্য জুড়ে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, দুই পক্ষ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক বিরোধ ও দাবিগুলো সমাধানে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, বুধ এবং বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ইউনান প্রদেশের কুনমিং-এ দুই পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে চীন।
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা এবং ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ উভয়ই নিশ্চিত করেছে, তারা শুক্রবার চীনের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্সভুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী টিএনএলএর এক নেতা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা শত্রুপক্ষের (সামরিক সরকার) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আমরা আর শত্রুপক্ষের সেনাছাউনি বা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে হামলা চালাব না; আর বিপরীতে তারাও আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান ও বোমা হামলা থেকে বিরত থাকবে।’
জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এএফপিকে বলেছেন, চীনের সহায়তায় (দক্ষিণ চীনা শহর) কুনমিং-এ একটি বৈঠক হয়েছে। আমরা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের পর গত বছরের অক্টোবর উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে।
গত ডিসেম্বরের মাঝের দিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশের বেশিরভাগ শহরের দখল নেয় বিদ্রোহীরা। ওই সময় আরাকান আর্মি (এএ) জানায়, তারা রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে অন্তত ১৫টি এবং প্রতিবেশী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরের দখল সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। এই দুই রাজ্যে সেনাবাহিনীর ১৪২টি সামরিক চৌকির দখলও নিয়েছে তারা।
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন