চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ফরিদপুর গড়ার অঙ্গীকার এমপি লাবু চৌধুরী ও এ.কে আজাদের

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ফরিদপুর গড়ার অঙ্গীকার করেছেন ফরিদপুর-২ আসনের এমপি শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু ও ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি এ.কে. আজাদ।
রবিবার সকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তারা এ অঙ্গীকারের কথা জানান।
মাসিক এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় কমিটির উপদেষ্টা এমপিদ্বয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার, সকল নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জেলার সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এ.কে. আজাদ বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিতে মানুষ অতিষ্ঠ। এই অবস্থা থেকে ফরিদপুরের মানুষ মুক্তি চায়। এটি ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সর্বোচ্চ ফোরাম। আমরা আশা করব পুলিশ ও জনপ্রশাসন এই সমস্যা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে একযোগে কাজ করবেন। আমরা জনপ্রতিনিধিরা আপনাদের সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, ফরিদপুর শহরে অটো রিকশাচালক, শরিয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পরিবহন সেক্টর থেকে নিয়মিত চাঁদা নেওয়া হয়, এই চাঁদাবাজি কারা করে সেটা নিশ্চয়ই প্রশাসন জানতে পারবে। আমরা এই চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পেতে চাই।
এ. কে. আজাদ বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, মাদক ব্যবসা করে, তাদের পেছনে একজন লাট ভাই থাকে, এখন তো আর ফরিদপুর শহরে কোনো লাট ভাই নেই, তাই জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমি চাই, আইন তার নিজের গতিতে চলুক। আমি কখনোই প্রশাসনের কাছে কাউকে সাজা দিতে বা কাউকে ছেড়ে দিতে সুপারিশ করবো না, আপনারা আপনাদের মতো আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন চালাবেন, আমার সহযোগিতা থাকবে।
ফরিদপুর শহরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটে অবস্থিত যৌনপল্লীদুটির বাসিন্দাদের সম্মানজনক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতধারায় পুনর্বাসনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই তাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে নিতে পারবো।
শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবুও তার বক্তব্যে ‘সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স’ উল্লেখ করে বলেন, আমার দলের লোকও যদি এসবের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, শুধু ব্রথেলেই নয়, ফরিদপুর শহরের অনেক ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া করে অসামাজিক কাজ চালানো হচ্ছে, সেব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, শুধু শাস্তি দিয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠা নয়, সচেতনতা বাড়াতে হবে। শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে যার যার জায়গা থেকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ফরিদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ফরিদপুরের চারটি আসনের সংসদস্যগণ আমাদের উপদেষ্টা, আপনাদের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজন। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়তায় সচেতনতা সৃষ্টি করে অপরাধমুক্ত ফরিদপুর গড়ার প্রত্যয় জানান তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দীন, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা, সরকারী ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আলী আহসান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাসউদা হোসেন, রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তা প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন