বুটেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনে স্মারকলিপি

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পেরুলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কোনো প্রকার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়নি। দেশের স্বাধীনতার জন্য অসামান্য ভূমিকা রাখা এসব বীরদের স্মরণে স্মৃতিফলক না থাকাটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেও প্রশংসনীয় নই। প্রতি বছর বুটেক্সে দেশের জাতীয় দিবসগুলো সাদামাটাভাবে পালন করতে দেখা যায়। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মনে লালনের জন্য স্মৃতিফলক স্থাপন করা অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ স্মারকলিপি প্রদান কালে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরমান হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ শহিদদের স্মৃতিফলক না থাকায় শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিবসে ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসগুলো পালন করতে পারে না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমে আসার শঙ্কা থেকে যায়। তাই আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিসত্বর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা উচিত।
বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উল ইসলাম বলেন, বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য কোনো না কোনো স্মৃতিচিহ্ন থাকে। এটি বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের আত্নপরিচয়ের অংশ। দু:খজনক যে বুটেক্সে এ ধরনের কোনো ম্যুরাল নেই। আমরা বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে তাই ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক ম্যুরাল স্থাপনে ভিসি মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি।
স্মারকলিপি হস্তান্তর শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, যেহেতু দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এমন স্মৃতিফলক করেছে তাই এটি একটি যৌক্তিক দাবি। শিক্ষার্থীদের এ দাবি বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনদের মিটিং এ তোলা হবে, তাদের মতামতের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা এ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন